বাংলাদেশের নতুন দ্রুততম মানবী সুমাইয়া দেওয়ান ২০০ মিটারেও প্রথম হয়েছেন। আজ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় দিনের অন্যতম আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছিল ২০০ মিটার। সেই ইভেন্টে সুমাইয়া দেওয়ান দুর্দান্ত পারফরম করে সেরার মুকুট পরেছেন।

এবারের জাতীয় অ্যাথলেটিক্স সদ্য সাবেক দ্রুততম মানবী শিরিনের জন্য বেদনার হয়ে রইল। চোট নিয়ে খেলছিলেন; সে কারণেই হয়তো, সেরাটা ঢেলে দিতে পারেননি তিনি। ‘সাবেক’ দ্রুততম মানব ইসমাইল ১০০ মিটারে ব্যর্থ হলেও লং জাম্পে স্বর্ণ জিতেছেন।

১০০ মিটারে শিরিন সুমাইয়ার সঙ্গে সমানতালে লড়লেও ২০০ মিটারে শিরিন ফিনিশিংয়ে সুমাইয়ার চেয়ে কয়েক মিটার পিছিয়ে পড়েন। তাতেই সুমাইয়া জেতেন সোনার পদক। দুই ইভেন্টে সেরা বেশ খুশি সুমাইয়া, ‘প্রথমবারের মতো সিনিয়র প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দুই ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

নাজমুন নাহার বিউটি, শিরিন আক্তার টানা কয়েক বছর দ্রুততম মানবীর খেতাব নিজের করে রেখেছিলেন। সেই চ্যালেঞ্জ এখন শিরিনের কাঁধে। ষোড়শী হলেও সেই চ্যালেঞ্জ ঠিকই নিলেন সুমাইয়া, ‘আমি সেরা হওয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চাই।’ 
বিকেএসপির শিক্ষার্থী সুমাইয়া দেওয়ানের কোচ মেহেদী। শিষ্যের এই সাফল্য প্রত্যাশিত ছিল তার কাছে, ‘সুমাইয়া একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় ছিল। জুনিয়রে সে সেরা হয়েছে এবং রেকর্ডও করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জুনিয়র খেলেছে। আগেও তাকে জাতীয় খেলানোর আলোচনা হয়েছে, তবে খেলানো হয়নি। পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই তাকে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো হলো এবং সে প্রথম প্রতিযোগিতাতেই বাজিমাত করল।’ 

সুমাইয়া এবার জাতীয় মিটে ভালো করবেন সেটা মাসখানেক আগেই আঁচ করেছিলেন মেহেদী। ট্র্যাকে সুমাইয়া সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছে। শিরিনও বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী। মেহেদীও শিরিনকে কাছ থেকে দেখেছেন। দুই শিষ্যের মধ্যে পার্থক্য করলেন এভাবে, ‘শিরিনও ভালো এবং মেধাবী অ্যাথলেট। তবে সুমাইয়া বেশি সম্ভাবনাময়। ওর স্টেপিং ধরন একটু ভিন্ন। যেটা তাকে এগিয়ে রাখে।’ 

স্প্রিন্টে এসএ গেমসে বাংলাদেশের পদক নেই। সুমাইয়াকে দিয়ে আশা করা যায় কিনা এর উত্তরে বলেন, ‘বিষয়টি এখন ফেডারেশনের উপর নির্ভর করে। ফেডারেশন দীর্ঘ প্রশিক্ষণে রাখলে অবশ্যই ভালো কিছু সম্ভব।’

১০০ মিটার স্প্রিন্টে দ্বিতীয় হওয়া নৌবাহিনীর রকিবুল ২০০ মিটারে সেরা হয়েছেন। দ্রুততম মানব না হওয়ায় দুঃখ ঘুচিয়েছেন ২০০ মিটারে সেরা হয়ে, ‘ইমরান অনেক ভালো দৌড়েছে। ১০০ মিটারে ব্যর্থ হওয়ার পর চেষ্টা করেছি ২০০ মিটারে সেরা হওয়ার। আগামী বছরে টাইমিং আরো কমাতে চাই।’

ইংল্যান্ড থেকে আসা ইমরানুর রহমান ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নেয়ার পর খানিকটা ব্যথা অনুভব করেন। এরপর তিনি অন্য কোনো ইভেন্টে অংশ নেননি। ইমরান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হয়ে অংশ নেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে।

এজেড