এক সময় দেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ছিল ব্যাডমিন্টন। সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য খানিকটা স্থবিরতা এই খেলায়। কোর্টে স্থবিরতা থাকলেও আসন্ন নির্বাচনে অবশ্য আবার সতেজ ব্যাডমিন্টন অঙ্গণ।
 
আজ (রোববার) ছিল মনোনয়নপত্র সংগ্রহের দিনক্ষণ। ২৪টি কার্যনির্বাহী পদের বিপরীতে ৫০টির বেশি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। ফুটবল, ক্রিকেট বাদে অন্য ফেডারেশনগুলো মূলত পরিচালিত হয় সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে। ফলে ফেডারেশনগুলোর নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদই মূল আকর্ষণ।
 
এবারের ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদকের মূল আলোচনায় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত শাটলার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদুর রহমান রানা, বর্তমান সহ-সভাপতি আমির হোসেন বাহার ও বরগুনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আলমগীর হোসেন। অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার ও নেত্রকোণা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কামরুন্নেছা আশরাফ দিনাও সাধারণ সম্পাদক হতে আগ্রহী শোনা গেলেও তারা উপরোক্ত তিন জনের চেয়ে রেসে অনেকটা পিছিয়ে। 

ব্যাডমিন্টন অঙ্গণে অন্যতম যোগ্য সংগঠক ও ব্যক্তিত্ব জোবায়েদুর রহমান রানা। শিক্ষা, খেলোয়াড়, সংগঠক অভিজ্ঞতা সব দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি এগিয়ে। বর্তমানে ফেডারেশনগুলোর নির্বাচন নিয়ন্ত্রিত হয় ফোরামের মাধ্যমে। ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের মূল চালিকা শক্তি থাকবে কার হাতে এটা সম্পূর্ণ অর্থেই নির্ভর করছে ফোরামের সিদ্ধান্তের ওপর।
 
বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক পরিষদের সভাপতি আজম নাসির গতকাল রোববার ঢাকায় এসেছিলেন। বিকেলে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে জেলা, বিভাগের সংগঠক এবং জোবায়েদুর রহমান রানার সঙ্গে পৃথক পৃথক আলোচনা করেছেন। বিভিন্ন সূত্রের খবর, ফোরামের এই শীর্ষ নেতা ব্যাডমিন্টনের উন্নয়ন ও উৎকর্ষতার স্বার্থে একটি গ্রহণযোগ্য প্যানেল তৈরি করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। 

ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনে ১০২ জন কাউন্সিলের মধ্যে ৭০ কাউন্সিলরই জেলা ও বিভাগ থেকে। ফলে জেলা-বিভাগের সংগঠক পরিষদের সমর্থন যার দিকে থাকবে তারই নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদুর রহমান রানা প্রথম বিভাগের ক্লাব গুলশান স্পোর্টিং ক্লাবের কাউন্সিলর। ঐক্যমতের ভিত্তিতে তাকে সাধারণ সম্পাদক করলে তিনি ব্যাডমিন্টনের উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ফোরাম যদি তাকে সমর্থন না করে সেক্ষেত্রে তার নির্বাচনের আগ্রহ নেই।

আমির হোসেন বাহার ও আলমগীর জেলা-বিভাগের সংগঠক। ফোরামের একটি পক্ষ চায় সাতার, ভলিবল, দাবার মতো আরেকটি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক থাকুক তাদের নিয়ন্ত্রণে। খেলার উন্নয়নে যোগ্যতা-সামর্থ্য বিচার করে ফোরাম নেতারা একটি গ্রহণযোগ্য ঐক্যমতের প্যানেল করবে নাকি আঞ্চলিকতা ও স্বজনপ্রীতিকেই শেষ পর্যন্ত স্থান দেবে সেটা দেখার অপেক্ষায় গোটা ক্রীড়াঙ্গন। 

আজ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিচ্ছিন্নভাবে। ২০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল। মনোনয়ন দাখিলের আগেই একটি সমঝোতার প্যানেল হওয়ার কথা রয়েছে। ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচনে ২৪ কার্যনির্বাহী কমিটির মধ্যে সহ-সভাপতি চারটি, সাধারণ সম্পাদক একটি, যুগ্ম সম্পাদক দুইটি, কোষাধ্যক্ষ একটি ও সদস্য ১৬টি পদ রয়েছে। সভাপতি সরকার কর্তৃক মনোনীত হন।

এজেড/এমএইচ