চলতি বছর বৈশ্বিক ক্রীড়াঙ্গনে ব্যস্ত সূচি। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ বিশ্বকাপ ফুটবল ছাড়াও মহাদেশীয় কয়েকটি গেমস রয়েছে। এই বছর বড় গেমসগুলোর শুরুটা হবে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস দিয়ে। বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়েরের সঙ্গে।

তৃতীয় বারের মতো ইংল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক হতে যাচ্ছে।

রবার্ট : লন্ডন ও ম্যানচেস্টারের পর আবার ইংল্যান্ড কমনওয়েলথ স্বাগতিক হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। ইংল্যান্ড ও বার্মিংহাম এটার জন্য গেমসের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। 

বার্মিংহামকে বেছে নেয়ার কারণ কি এবং বার্মিংহামের বিশেষত্ব কি ?

রবার্ট : বার্মিংহাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর। এখানে একশো’র বেশি ভাষার প্রচলন, শিল্পনগরীও। বার্মিংহামে ক্রীড়া স্থাপনা অনেক। গেমস উপলক্ষ্যে তেমন কিছু বিশেষভাবে নির্মিতও করতে হয়নি। বার্মিংহাম গেমস উপভোগ করবে সবাই এবং বার্মিংহাম সেরা কমনওয়েলথ গেমস উপহার দেবে

ওমিক্রন সারা বিশ্বে এখন আতঙ্কের নাম। কমনওয়েলথ গেমসের জন্য বড় ঝুঁকি মনে করেন কিনা

রবার্ট: ওমিক্রন শুধু ইংল্যান্ড নয় অনেক দেশেই বিস্তৃতি করেছে। গেমস শুরু হবে জুলাইয়ের শেষে। এখনো ছয় মাসের বেশি সময় রয়েছে। এর মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে নিশ্চয়ই। তাছাড়া দুই বছর আগে ভ্যাকসিন ছিল না। এখন অনেক ভ্যাকসিন রয়েছে। ফলে ওমিক্রন গেমসের জন্য কোনো সমস্যা হবে বলে মনে করি না।

গেমস সামনে রেখে ওমিক্রন নিয়ে ইংল্যান্ড সরকারের প্রস্তুতি কেমন... 

রবার্ট: আমাদের ভ্যাকসিনেশন হার বেশ ভালো। শিশুদেরও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হচ্ছে। ওমিক্রন নিয়ে ইংল্যান্ডে তেমন সমস্যা নেই। গেমস উপলক্ষ্যে আয়োজকরা অবশ্যই একটি স্বাস্থ্য নির্দেশিকা দেবে। 

আয়োজনে ও পদক সংখ্যায় ইংল্যান্ড কি আগের তিন আসরকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে

রবার্ট: অলিম্পিকে আমাদের পদক সংখ্যা ভালোই থাকে। টোকিও অলিম্পিকে যারা অংশ নিয়েছে তাদের অনেকেই কমনওয়েলথে অংশ নেয়ার কথা। ফলে পদকের দিক থেকে আমাদের অবস্থান ভালোই হওয়ার কথা। শুটিং ও আরচ্যারি ডিসিপ্লিন শেষ পর্যন্ত না থাকলেও গত কয়েকটি গেমসের চেয়ে এবার বেশি পদক কমনওয়েলথ গেমসে।

গত বছর ইউরো কাপ আয়োজন করলেও এবার ইংল্যান্ড এককভাবে বেক্সিট হওয়ার পর একটি বড় গেমস করতে যাচ্ছে। গেমসে ব্রেক্সিট কোনো প্রভাব পড়তে পারে কিনা?

রবার্ট : ব্রেক্সিট কোনো ইস্যু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ইংল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই এতে অভ্যস্ত সবাই এখন এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। গেমসে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমনওয়েলথভুক্ত কয়েকটি দেশও এবার বার্মিংহাম গেমসে অংশগ্রহণ করবে। 

বাংলাদেশ সরাসরি ইংল্যান্ডের শাসনের মধ্যে ছিল। কমনওয়েলথভুক্ত দেশ হিসেবে ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের কাছ থেকে আরো বেশি সহায়তা পেতে পারে কি?

রবার্ট : বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ব্যক্তি কাজ করছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের পারস্পরিক আদান প্রদান ভালো। 

কুইন্স ব্যাটন রিলে বাংলাদেশ ভ্রমণ করল। কেমন উপভোগ্য হলো?

রবার্ট : খুবই ভালো ও সুন্দর ছিল ব্যাটনের বাংলাদেশ সফর। ব্যাটন আগমন ও পুরো বিষয়টি সমন্বয়ক বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন। তাদের প্রতি ধন্যবাদ আমাদের হাই কমিশনে একটি সেশন ছিল। আমি অনেক অনুষ্ঠানেই অংশগ্রহণ করেছি। ব্যাটনের মাধ্যমে রাণীর শান্তুি ও সম্প্রীতির বার্তা কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে পরিভ্রমণ করছে৷ 

কূটনীতিক হিসেবে ক্রীড়াকে কিভাবে কূটনীতির মাধ্যম হিসেবে দেখেন...

রবার্ট : ক্রীড়া কূটনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বিশেষ করে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর জন্য তো বটেই। 

এজেড/এটি