ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচনে প্রতি দিনই নতুন নতুন ঘটনার জন্ম হচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী কবিরুল ইসলাম শিকদারের সমর্থক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে অভিযোগ দিয়েছিল কবিরের সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন পত্রে স্বাক্ষর সমর্থকের নিজের ছিল না। আজ নির্বাচন কমিশন কয়েক ঘণ্টা আলোচনা শেষে কবিরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন। 

নির্বাচনের প্রজ্ঞাপনে বৈধ মনোনয়নপত্রের উপর আপত্তি তোলার সুযোগ নেই। তফসিলে রয়েছে বাতিলকৃত মনোনয়নপত্রের ওপর আপত্তি। নির্বাচন কমিশন কোনো মনোনয়নপত্র বাতিল করেনি। ফলে কবিরের শিকদারের সমর্থকের করা অভিযোগ আমলে নিতে পারেনি। ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসার কবিরুল হাসান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কবিরুল শিকদারের মনোনয়ন পত্র বৈধতার অবস্থানেই রয়েছে।’

নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সমর্থকের অভিযোগ আমলেই নেওয়ার কথা নয়। কিন্তু আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের আজ (মঙ্গলবার) শুনানির দিন হাজির হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কবিরুল ইসলাম শিকদার সশরীরে হাজির হলেও সমর্থকের স্বাক্ষর নিয়ে প্রতিবাদ জানানো আনামের সঙ্গে মুঠোফোনে নির্বাচন কমিশনার শেখ হামিম হাসান আলোচনা করেছেন। 

সেই আলোচনায় আনাম তার স্বাক্ষর নয় জানিয়েছিলেন এবং নির্বাচন কমিশনারের অনুরোধে পুনরায় অভিযোগপত্র পাঠান মেইলে। কবির শিকদার তার অবস্থান তুলে ধরেছেন। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর্যায়ে গিয়ে নির্বাচন কমিশন তফসিল দেখে হুশ ফিরেছে যে বাতিলকৃত মনোনয়নপত্র এবং সেই প্রার্থী ছাড়া অভিযোগ আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই। 

সাধারণত বৈধ মনোনয়ন পত্রের উপর আপত্তির রেকর্ড ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর নির্বাচনে নেই। ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচনে নতুন এক শিক্ষা হলো জাতীয ক্রীড়া পরিষদের। দীর্ঘদিন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাচন কমিশনে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে আইন কর্মকর্তা কবিরুল হাসান বলেন, ‘এ রকম অভিজ্ঞতা আমাদের এটাই প্রথম। নির্বাচন তফসিলটি আরো যুগপোযগী করার উপলব্ধি এসেছে। পাশাপাশি স্বাক্ষর সংক্রান্ত কিছু বিষয় আলোচনা হয়েছে। যেগুলো ভবিষ্যৎ নির্বাচনের সময় আমরা প্রয়োগ করতে পারব।’

নির্বাচন তফসিলে যদি মনোনয়নপত্রের আপত্তি থাকত বাতিল শব্দ বাদ দিয়ে সেক্ষেত্রে একজন সমর্থক-প্রস্তাবকের বৈধ মনোনয়ন পত্রের উপরও অভিযোগ জানানোর বৈধতা থাকে। শুধু বাতিল থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে ব্যাডমিন্টনে। 

কবিরুল ইসলাম শিকদারের মনোনয়নপত্র নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। ব্যাডমিন্টন সংশ্লিষ্টদের ধারণা তার ফরমে প্রস্তাবক-সমর্থকই ছিল না। নির্বাচন কমিশন তার কাটাকাটি হওয়া মনোনয়নই জমা নেয় ও বৈধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে গতকাল তার সমর্থক আনাম দাবি করেন ফরমে স্বাক্ষর তার নয়। 

এজেড/এমএইচ/এটি