করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে তিনি নারাজ। সে কারণে গঞ্জনাও কম সইতে হয়নি তাকে। সেই নোভাক জকোভিচই এবার কথা বলছেন ভিন্ন সুরে। জানালেন, সেই বিতর্ক পেছনে ফেলতে, প্রতিযোগিতায় ফিরতে প্রস্তুত তিনি। 

রোববার মন্টে কার্লো মাস্টার্স ওপেন দিয়ে শুরু হয়েছে ক্লে কোর্টের মৌসুম। তার শুরুতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জকোভিচ। তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতাটাকে আমি বেশ মিস করি। নিজের ভেতর এখনো আমি সফরে যাওয়ার, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার, বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিরোপার জন্য বিশ্বসেরা খেলোয়াড়দের চ্যালেঞ্জ জানানোর চেষ্টা করার অনুপ্রেরণা বেশ অনুভব করি।’

চলতি বছর তিনি মোটে একটি প্রতিযোগিতায় খেলেছেন। দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপে তার যাত্রাটা অবশ্য শেষ হয়ে গেছে কোয়ার্টারেই। এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে গেলেও জোকার অস্ট্রেলিয়া থেকে বিতাড়িত হন, করোনার টিকা না নেওয়ার কারণেই এই প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। 

এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি ইন্ডিয়ানা ওয়েলস, ক্যালিফোর্নিয়া ও মিয়ামি মাস্টার্সে খেলতে পারেননি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রেও তিনি একই কারণে প্রবেশাধিকার পাবেন না। 

এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, মাঠে নামার জন্য তিনি কখনোই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেবেন না। যে কারণে বেশ কিছু টুর্নামেন্টে খেলতে পারেননি তিনি, ফলে হারাতে হয়েছে র‍্যাঙ্কিংয়ের শ্রেষ্ঠত্বও। 

তবে সে সময়টা পেছনে ফেলে সামনের দিকে তাকাতে প্রস্তুত তিনি। জোকারের ভাষ্য, ‘শেষ চার, পাঁচ মাস আমার জন্য মানসিকভাবে বেশ চ্যালেঞ্জিংই ছিল। কিন্তু সেসব পেছনে ফেলে এখন আমি সামনে তাকানোর চেষ্টা করছি।’

আগামীকাল মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটা খেলবেন জকোভিচ। ফ্রান্স আর মোনাকো সম্প্রতি করোনাভাইরাস বিষয়ক সব কড়াকড়ি সিদ্ধান্ত সিথিল করেছে। এখন তাদের দেশে যারা করোনার টিকা নেয়নি, তাদের রেস্টুরেন্ট, খেলার মাঠ কিংবা অন্য জনসমাগমের জায়গায় যেতে আর কোনো বাঁধা নেই। 

মন্টে কার্লোর পরই শুরু ফ্রেঞ্চ ওপেন। সেই শিরোপা জিতেই ফেরার বার্তাটা বিশ্বকে শোনাতে চান বলে জানান জোকার। বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে এটা আমার সবচেয়ে সফল সার্ফেস। আমি এই প্রতিযোগিতাকে মৌসুম শুরু করার একটা অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখার চেষ্টা করব। আমি জানি শুরুটা ভালো হবে না। কিছু সময়, কিছু ম্যাচ লাগবে ছন্দ ফিরে পেতে।’ তবে তার কাছে অবশ্য সময় খুব একটা নেই। আগামী ২২ মে প্যারিসে যে শুরু হতে যাচ্ছে ফ্রেঞ্চ ওপেন!

এনইউ