১৯৯৮ সালে ক্রীড়াঙ্গনে গণতন্ত্রের চর্চা শুরু। দেশের অন্য ফেডারেশনগুলো কম-বেশি নির্বাচন হলেও টেনিস ফেডারেশন নির্বাচনহীন ছিল এক যুগের বেশি। অবশেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টেনিসে। 

আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে টেনিস ফেডারেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র কেনার প্রথম দিন ছিল। নির্বাচন কমিশন ৩৪ টি ফরম বিক্রি করেছে। এর মধ্যে এক প্যানেলের পক্ষে ৩২ টি আর বাকি দুইটি ফরম স্বতন্ত্রভাবে বিক্রি হয়েছে। সাবেক জাতীয় সাঁতারু লায়লা নূর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কোটায় কাউন্সিলর হয়ে টেনিস নির্বাচনে আজ বুধবার মনোনয়নপত্র কিনেছেন। 

ফুটবল, ক্রিকেট বাদে দেশের অন্য ফেডারেশনগুলোর মূল পদ সাধারণ সম্পাদক। টেনিস ফেডারেশনে সাধারণ সম্পাদক পদে এত দিন আলী দ্বীন এবং হায়দারের মধ্যে একটা স্নায়ুযুদ্ধ ছিল। শেষ পর্যন্ত এই দুই জন ঐক্যমতে সমঝোতায় পৌছেছে। হায়দারকে সাধারণ সম্পাদক এবং দীনকে সহ-সভাপতি করে একটি প্যানেলের রুপরেখা করা হয়েছে।

ক্রীড়াঙ্গনে ফেডারেশনগুলোর নির্বাচনে ভোটের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক পরিষদ। সেই পরিষদের এক শীর্ষ নেতা হায়দারের প্রতি সমর্থন করায় সাধারণ সম্পাদক পদে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার আর অবকাশ নেই। তবে এই নির্বাচনের নাটকে নতুন চরিত্র জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক সচিব ও টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম। তিনি টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করতে চান। গুঞ্জন রয়েছে, কয়েকটি পদে তিনি কয়েকজন সহ প্রার্থীতা দিতে পারেন। তবে আজ বিকেলে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এখনো নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি বলে জানান। আগামীকাল মনোনয়নপত্র নেয়ার দ্বিতীয় ও শেষ দিন। আগামীকাল নির্বাচনে নতুন মোড় নিতেও পারে।

২০০৯ সাল থেকে টেনিস ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি। নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন হয়। নানা জটিলতায় অ্যাডহক কমিটি কাউন্সিলর বা ভোটার তালিকা গঠন করতে ব্যর্থ হয়। মাসুদ করিম নিজেও সাধারণ সম্পাদক থাকাবস্থায় ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে পারেননি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নতুন সচিব পরিমল সিংহ এক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ তৈরি করেছেন।  

গত ২৫ মে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৬ জুন এই নির্বাচন। ৯৬ জন কাউন্সিলরের নাম চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ ও বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র বিতরণ, ১৪ জুন মনোনয়নপত্র দাখিল, পরের দিন বাছাই, ১৬ জুন মনোনয়নপত্রের উপর আপত্তি গ্রহণ, ১৯ জুন শুনানী এবং পরের দিন প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ। নির্বাচনী আবহ তৈরী হলেও এই ফেডারেশনে একক প্যানেল দেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ। মাসুদ করিমের সঙ্গে হায়দার-দ্বীন প্যানেলের সমঝোতা হলে আর ভোটাভুটির প্রয়োজন পড়বে না। 

এজেড/এটি