নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমার মুহূর্তে প্রার্থীরা/টেনিস ফেডারেশন

টেনিস ফেডারেশনের নির্বাচনে আজ মঙ্গলবার ছিল মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২৫ পদের বিপরীতে ৩৫টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। ফুটবল, ক্রিকেট বাদে দেশের অন্য সব ফেডারেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক। সেই পদে দুটি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। পাঁচ সহ-সভাপতি পদে ৭টি, এক কোষাধক্ষ্যের বিপরীতে দুটি, দুই যুগ্ম সম্পাদকের বিপরীতে চারটি এবং ১৬ নির্বাহী সদস্যের বিপরীতে ২০টি ফরম জমা হয়েছে।

টেনিস অঙ্গনে নির্বাচন হীন ছিল এক যুগের বেশি সময়। বর্তমান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব ও টেনিস ফেডারেশনের সচিব পরিমল সিংহ সেই জট খুলেছেন। টেনিস অঙ্গনে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় ছিলেন এত দিন আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার ও মোহাম্মদ আলী দ্বীন। পরবর্তীতে এই দুই জন একত্রে হয়ে একটি প্যানেল করেছেন। সেই প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হায়দার এবং অন্যতম সহ-সভাপতি দ্বীন। হায়দারের বিপক্ষে জমা দেওয়া সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কিশোরগঞ্জ ক্লাবের অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান। 

২৫ জনের নির্বাহী কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্যানেলই দিয়েছেন হায়দাররা। এ প্যানেলের বাইরে থেকে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ও টেনিস ফেডারেশনের সাবেক সচিব মাসুদ করিম। তিনি পটুয়াখালী টেনিস ক্লাবের কাউন্সিলর। হায়দার প্যানেলের বাইরে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে দশটি। এরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও মূলত মাসুদ করিমের সমর্থিত বলে ধারণা ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের। যদিও অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা না থাকার দাবি করেছেন।

মাসুদ করিম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব ছিলেন। এ বছরের জানুয়ারিতে অন্যত্র বদলি হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব থাকাবস্থায় দেশের ফেডারেশনগুলোর দেখভাল করেছেন। এক পর্যায়ে টেনিসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন। অ্যাডহক কমিটির সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচন আয়োজন তার দায়িত্ব ছিল। নির্বাচন আয়োজন করতে না পেরে উল্টো নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ক্রীড়াঙ্গনে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। 

টেনিসে নিজের প্রার্থিতা হওয়ার কারণ সম্পর্কে মাসুদ করিম বলেন, ‘টেনিসকে ভালোবাসি এবং পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি টেনিসের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এ জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’

কয়েক মাস আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব এখন একটি ফেডারেশনে ভোটের মাঠে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক সচিবদের ফেডারেশনে নির্বাচন করার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে নেই। এ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলেও তিনি দেখছেন অন্য ভাবে, ‘নির্বাচনে ভোট হতেই পারে। এটা ক্রীড়া গণতন্ত্রের জন্য ভালো এবং হার-জিত থাকবে সেটা স্পোর্টিংলি নেয়াই উত্তম।’

টেনিসের নির্বাচনে মাসুদ করিমের মতো আরেকটি নতুন মুখ সাবেক তারকা সাতারু লায়লা নূর। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাতারু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কোটায় কাউন্সিলর হয়েছেন। তিনি সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক দুই পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ আসলাম আগে থেকেই টেনিসের সঙ্গে যুক্ত। তিনি হায়দারের প্যানেলে সদস্য হিসেবে নির্বাচন করছেন। 

আজ জমা হওয়া মনোনয়নপত্র জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাচন কমিশন যাচাই বাছাই করবে। ২০ জুন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে। ২৫ জুন ভোটাভুটি। ৯৫ জন ভোটার ৪ বছরের জন্য টেনিস ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন। 

এজেড/এটি