সাধারণ সম্পাদক পদকে কেন্দ্র করে টেনিস ফেডারেশনের নির্বাচন আটকে ছিল অনেক দিন। সেই সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার। আজ সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কিশোরগঞ্জ ক্লাবের অ্যাডভোকেট শাহজাহান মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিলে হায়দার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছানাউল হক বকুলের পর টেনিস নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক পেতে যাচ্ছে। 

আজ সোমবার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের দিন সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি যুগ্ম সম্পাদক পদেও দু’টি প্রত্যাহার হয়েছে। রুহুল আমিন বাবু ও লায়লা নূর যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় এই পদেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন সাইফুল ইসলাম ও শেখ মঈনউদ্দিন ওয়ালিউল্লাহ।

অন্য পদ থেকে আর প্রত্যাহার না হওয়ায় সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য পদে নির্বাচন হবে। টেনিসের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একজন নারী কার্যনির্বাহী সদস্য রয়েছে। সেই পদে শিরিন আক্তার চৌধুরী একাই থাকায় তিনিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। বাকি ১৫ সদস্যের জন্য লড়াই করবেন ১৯ প্রার্থী। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক জাতীয় তারকা ফুটবলার ও টেনিস ফেডারেশনের সাবেক কোষাধ্যক্ষ শেখ মোঃ আসলাম। 

দ্বীন ও হায়দারের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পর টেনিসের নির্বাচনে ভোট না হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ এই নির্বাচনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক সচিব ও টেনিস ফেডারশেনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম সহ-সভাপতি প্রার্থী হয়ে নির্বাচন অঙ্ক বদলে দেন। 

টেনিসে সহ-সভাপতি পদ পাঁচটি। হায়দারের প্যানেলে পাঁচ সহ-সভাপতির বাইরে থেকে নির্বাচন করছেন মাসুদ করিম ও সাবেক জাতীয় তারকা সাঁতারু লায়লা নূর। টেনিসের নির্বাহী কমিটি ২৫ সদস্য বিশিষ্ট। হায়দার-দ্বীন পূর্ণাঙ্গ ২৫ জনের প্যানেলেই দিয়েছেন। এর বাইরে প্রার্থী রয়েছেন সাত জন। 

সদস্য, কোষাধ্যক্ষ ও সহ-সভাপতি পদে ভোটাভুটি হবে ২৬ জুন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন ভবনে নিচ তলার সভা কক্ষে ২৬ জুন ৯৪ কাউন্সিলর এই নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন। 

এজেড/এটি/এইচএমএ