বয়স ৩৫ ছুঁয়ে ফেলেছে। সানিয়া মির্জা জানিয়ে দিয়েছেন, এবারের উইম্বলডনই শেষ। আর কখনো তাকে সাদা পোশাকে দেখা যাবে না অল ইংল্যান্ড ক্লাবের গ্র্যান্ড স্ল্যামে। ক্যারিয়ারের শেষ উইম্বলডনটা রাঙানোর পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছেন তিনি। 

নারী দ্বৈত বিভাগে ব্যর্থ হলেও মিশ্র দ্বৈতে শিরোপার পথে এগিয়ে গেছেন বেশ। কোয়ার্টারে হারিয়েছেন চতুর্থ বাছাই জুটিকে। ৬-৪, ৩-৬, ৭-৫ ব্যবধানের জয় নিয়ে সঙ্গী ক্রোয়েশিয়ার মেট পেভিককে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে গেছেন প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে। উইম্বলডনের মিশ্র দ্বৈতে এটাই তার সর্বোচ্চ অর্জন।

প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়াকওভার পেয়েছিলেন সানিয়া-পেভিক। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ছিলেন জন পিয়ার্স এবং গ্যাব্রিয়েলা ডাবরস্কি। চতুর্থ বাছাই এই জুটির বিরুদ্ধে দারুণ লড়তে হলো দু’জনকে। এক ঘণ্টা ৪১ মিনিট লড়াই শেষে অবশ্য শেষ হাসিটা হেসেছেন সানিয়ারাই। 

লড়াইয়ের প্রথম সেটে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হেরে যান তারা। তৃতীয় সেটে সানিয়াদের দারুণ প্রত্যাবর্তন বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেয় ডাবরস্কিদের। তাতেই ৭-৫ ব্যবধানের জয় তুলে নিয়ে তারা চলে যান প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে।

বাছাইক্রমের হিসেবে অবশ্য সানিয়াদের সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ তুলনামূলক ‘সহজও’ হয়ে যেতে পারে। শেষ আটে যেখানে চতুর্থ বাছাইয়ের বিপক্ষে খেলতে হয়েছিল তাদের, সেখানে সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হয়ে যেতে পারে চলতি উইম্বলডনের সপ্তম বাছাই রবার্ট ফারাহ-জেলেনা অস্টাপেঙ্কো জুটি। তবে সেজন্য আজ কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে দ্বিতীয় বাছাই নীল স্কুপস্কি-দেসিরাই ক্রজিককে হারাতে হবে ফারাহ-অস্টাপেঙ্কোদের। সেটা হলে সেমিফাইনালে ফারাহ-অস্টাপেঙ্কোদের মুখোমুখি হয়ে যাবেন সানিয়ারা।