টানা দুবার উইম্বলডনের ফাইনালে উঠেছিলেন ওন্স জাভেউর। কিন্তু দুবারই স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হয়েছে এই তিউনিসিয়ান টেনিস তারকাকে। চলতি বছরের জুলাইয়ে তার বিপক্ষে উইম্বলডনের নারী এককের শিরোপা জিতেছিলেন মার্কেতা ভন্দ্রোসোভা। এবার সেই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছেন জাভেউর। জয়ের পরও তার মুখে হাসি নেই। গাজায় যুদ্ধের ভয়াবহতায় তার মন কাঁদছে। তাই তো টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়া পুরস্কারের অর্থ ফিলিস্তিনিদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিন মাস আগে রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে প্রথম রানি খুঁজে পেয়েছিল উইম্বলডন। জাভেউরের বিপক্ষে জয় পেয়েছিলেন চেক রিপাবলিকের টেনিস তারকা ভন্দ্রোসোভা। গতকাল (বুধবার) তারা ডব্লিউটিএ ফাইনালস টুর্নামেন্টে এস্তাদিও প্যারাডিসাসে মুখোমুখি হয়েছিলেন। প্রথম সেটে ৬-৪ গেমে জিতে যান জাবেউর। যা প্রায় চার মাস আগে হওয়া উইম্বলডন ফাইনালের প্রথম সেটের ফলের সমান। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি ভন্দ্রোসোভা।

দ্বিতীয় সেটে ৬-৩ গেমে জিতে যান জাবেউর। প্রায় চার মাস পর ‘প্রতিশোধের’ ম্যাচে সরাসরি সেটে জিতলেও তিউনিস তারকার মুখে ছিল না হাসি। গাজায় যুদ্ধের ভয়াবহ দেখে তিনি কেঁদে ফেলেছেন। টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়া অর্থ পুরস্কার ফিলিস্তিনিদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ম্যাচ শেষে জাভেউর বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে যা হচ্ছে, তাতে আমি খুশি নই। আমার খুবই খারাপ লাগছে। একের পর এক বাচ্চা মারা যেতে দেখে খুবই খারাপ লাগছে। এটা খুবই হৃদয়বিদারক। ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করতে আমার পুরস্কারের কিছু অংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

সামাজিকমাধ্যমে প্রতিনিয়ত এসব সহিংসতার ঘটনা দেখার প্রসঙ্গ টেনে তিউনিসিয়ান তারকা বলেন, ‘ভিডিও, ফটো নিয়মিত আপনি দেখতে পাবেন। এতে আমি ঠিকমতো ঘুমোতে পারছি না। এ কারণে সামাজিকমাধ্যম থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করছি।’

জানা গেছে, গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতায় কমপক্ষে ৯ হাজার ৬১ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে শিশুর সংখ্যা হলো ৩ হাজার ৭৬০ জন। 

এএইচএস