ক্রিকেটে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের একটি ভাবা হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বৈরথকে। দুই দলের ক্রিকেটযুদ্ধ একসময় নিয়মিত হলেও এখন তা নেমে এসেছে শুধুই বহুজাতিক টুর্নামেন্টে। রাজনৈতিক জটিলতার কারণে ২০১২ সালের পর থেকে দেশ দুটির দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নেই। বছরখানেকের বিরতিতে দেখা হয় দুই দলের। আর তা নিয়েই উন্মত্ত থাকে ক্রিকেট দুনিয়া। অন্যদিকে, দেশ দুটির অম্লমধুর সম্পর্কের প্রভাব আছে অন্য ক্রীড়া ইভেন্টগুলোতেও। 

ডেভিস কাপের বিশ্ব গ্রুপ-১ প্লে অফ খেলতে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে যাওয়ার কথা ভারতের। পাকিস্তানে যাতে খেলতে যেতে না হয় তার জন্য আগেই বিশ্ব টেনিস সংস্থার কাছে আবেদন করেছিল ভারতীয় টেনিস সংস্থা। তাদের আর্জি ছিল, নিরপেক্ষ দেশে খেলা হোক। সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেছে বলেই খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। উল্লেখ্য, শেষ বার ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানে ডেভিস কাপ খেলতে গিয়েছিল ভারত। সেবার ৪-০ জিতেছিল তারা।

এ প্রসঙ্গে ভারতীয় টেনিস সংস্থার সচিব অনিল ধুপর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘বিশ্ব টেনিস সংস্থা আমাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে আমাদের একটা দল যাবে। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে পরামর্শ নেব।’

এর আগে ধুপর জানিয়েছিলেন যে ডেভিস কাপ তারা অবশ্যই খেলবেন। তার জন্য প্রয়োজনে কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে পাকিস্তানে যাবে দল। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করছি যে ডেভিস কাপ কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যদি আমাদের দাবি খারিজ করে পাকিস্তানেই খেলার আয়োজন করা হয় তা হলে আমাদের যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুমতি চাইব। কারণ, টেনিসে ডেভিস কাপ খুব বড় প্রতিযোগিতা। সেখানে খেলার সুযোগ ছাড়া যাবে না। তার জন্য যা করতে হবে করব।’

২০১৯ সালেও ডেভিস কাপে ভারতকে খেলতে যেতে হতো পাকিস্তানে। সেবার ভারতের আবেদনের পরে খেলা ফেলা হয় কাজাখস্তানে। এবার আর ভারতের আবেদনে সাড়া দেয়নি বিশ্ব সংস্থা। ৩-৪ ফেব্রুয়ারি দু’দেশের খেলা রয়েছে। শেষপর্যন্ত ভারত যদি খেলতে না যায় তাহলে পাকিস্তানকে জয়ী ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে, ভারত বিশ্ব গ্রুপ ২-এ নেমে যাবে। এছাড়া থাকছে কঠোর শাস্তিও। এখন দেখার এই পরিস্থিতি কেন্দ্রের কাছ থেকে টেনিস সংস্থা সবুজ সংকেত পায় কি না।

এফআই