নাওমি ওসাকা ও সেরেনা উইলিয়ামস/ফাইল ছবি

বড় ম্যাচ হারের পর এমনিই খেলোয়াড়রা পড়ে যান বিষণ্ণতায়। তারপর যখন সংবাদ সম্মেলনে করতে হয় এর চুলচেরা বিশ্লেষণ, তখন এর তীব্রতা বাড়ে আরও। এ বিষয়টাই সম্প্রতি জানিয়ে নাওমি ওসাকা জানিয়েছিলেন ফ্রেঞ্চ ওপেনে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন না তিনি। এজন্যে বহিষ্কারের হুমকিও পেয়েছিলেন চারবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী। এরপর শেষমেশ নিজেকে টুর্নামেন্ট থেকে সরিয়েই নিয়েছেন তিনি, পেয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামসের সমর্থনও।

বিষয়টা আগেও জানিয়ে রেখেছিলেন নাওমি। প্রথম ম্যাচে সরাসরি সেটে জয়ের পরেও কথা থেকে সরে আসেননি তিনি। ম্যাচের পর কোর্টে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেও সংবাদ সম্মেলন ঠিকই বয়কট করেছিলেন হাইতিয়ান বংশোদ্ভূত জাপানি খেলোয়াড়। এজন্যে জরিমানার মুখেও পড়তে হয়েছে, গুণতে হয়েছে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। এরপরই জানালেন নিজের সরে আসার কথা। 

ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে এক বিশাল বিবৃতিতে তিনি লিখেন, ‘আমার মনে হয়েছে টুর্নামেন্ট, অন্য খেলোয়াড় আর নিজের ভালোর জন্যেই আমাকে সরে দাঁড়ানো উচিত। এখন থেকে টেনিসেই সবার মনোযোগ থাকবে। আমি কারো সমস্যা হয়ে থাকতে চাই না। তবে বিষয়টা আরও পরিষ্কার করা উচিত ছিল আমার।’

তিনি আরও জানান, সেই ২০১৮ সালের ইউএস ওপেন থেকেই মানসিক অবসাদ সঙ্গে নিয়ে ঘুরছেন তিনি। সেটাকে আরও বাড়িয়ে দিতে চান না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সংবাদ সম্মেলনে না আসার। তবে টুর্নামেন্টের চুক্তিতে সই করার সময়েই খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সংবাদ সম্মেলনে আসার বিষয়ে দায়িত্ব চলে আসে, সেটা ভঙ্গ করার কারণেই তিনি পড়েছেন জরিমানার মুখে।

সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী সেরেনা উইলিয়ামসের সমর্থন পেয়েছেন নাওমি। নিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর সেরেনা নাওমির এ সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে বলেন, ‘নাওমির সমস্যাটা আমি বুঝি। পারলে আমি তাকে জড়িয়ে ধরতাম, কারণ আমি জানি এ অনুভূতিটা কেমন। আমি আগেও বলেছি, আমি নিজেও এ পরিস্থিতিতে পড়েছি অনেকবার।’

এনইউ