ছবি: সংগৃহীত

করোনা-বিরতি শেষে টেনিস কোর্টে ফিরেছে, তবে দর্শকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিলই। অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড প্রটোকলের কড়াকড়ি আর খেলোয়াড়দের করোনা শনাক্তের হার চড়চড়িয়ে বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কা ছিল আসন্ন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে দর্শকদের উপস্থিতি নিয়ে। অবশেষে সে শঙ্কার মেঘ কেটে গেছে। ভিক্টোরিয়া প্রদেশের ক্রীড়া মন্ত্রী জানিয়েছেন, দিনপ্রতি ত্রিশ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারবেন রাফায়েল নাদাল-নোভাক জকোভিচদের।

তবে এই অনুমতি ভিক্টোরিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দিয়েছে কেবল ৮ দিনের জন্য। যেখানে দিন ও রাতের ভাগে ১৫ হাজার করে দর্শক ঢুকতে পারবেন গ্যালারিতে। কোয়ার্টার ফাইনাল আসতেই সংখ্যাটা নেমে আসবে পঁচিশ হাজারে, যা গেল মৌসুমের গড়পড়তা দর্শক উপস্থিতির অর্ধেক।
ভিক্টোরিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী মার্টিন পাকুলা বলেছেন, ‘এর মানে দাঁড়াবে ১৪ দিনে দিনে মেলবোর্ন পার্কে আমাদের দর্শক উপস্থিতি হবে তিন লক্ষ নব্বই হাজার। যা বিগত বছরগুলোর গড়পড়তা দর্শক উপস্থিতির অর্ধেক।’

করোনাকালে দর্শকদের উপস্থিতি কমে গেলেও গ্যালারির পরিবেশে খুব একটা পরিবর্তন আসবে না বলে মনে করেন ভিক্টোরিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রড লেভার অ্যারেনায় পরিবেশটা অবিশ্বাস্য থাকবে। শেষ ক’বছরে যেমন দেখেছি তার চেয়ে ব্যতিক্রম হবে না মোটেও। তবে একরকম হয়তো হবে না, কিন্তু এটা গুরুত্বপূর্ণ এক আন্তর্জাতিক আসর হতে যাচ্ছে কারণ গত কয়েক মাসে এত বেশি দর্শক নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান দেখেনি বিশ্ব।’

এর জন্যে কঠোরতাও দারুণভাবেই মেনেছে অজি প্রশাসন। ১৭০০ খেলোয়াড়, স্টাফ ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত লোকজনকে আনা হয়েছে ব্যক্তিগত বিমানে। এরপর সোজা পাঠান হয়েছে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে, এ সময়ে দিনে ৫ ঘণ্টার জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারতেন খেলোয়াড়রা। আর যাদের ফ্লাইটে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাদেরকে কোয়ারেন্টিন মানার সময়ে ঘর থেকেই বেরোতে দেয়া হয়নি।

মেলবোর্ন গেল বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় লকডাউনের মুখে পড়েছিল। এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এত বেশি দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি আবারও লকডাউনের মুখে পড়ার শঙ্কা সৃষ্টি করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

এনইউ /এটি