অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে রোমাঞ্চ যেন রাফায়েল নাদালের পিছুই ছাড়ছে না। আগের রাউন্ডে আদ্রিয়ান মানারিনোর বিপক্ষে এক টাইব্রেকারই রোমাঞ্চ ছড়িয়েছিল বেশ। সে রোমাঞ্চটা যেন আজ ছড়িয়ে পড়ল পুরো ম্যাচে। কোয়ার্টার ফাইনালে দেনিস শাপোভালভের বিপক্ষে তাই জয়টা তুলে নিতে তাকে লড়তে হয়েছে ৪ ঘণ্টারও কিছু বেশি সময়। ৬-৩, ৬-৪, ৪-৬, ৩-৬, ৬-৩ গেমে জিতে শেষ হাসিটা হেসেছেন নাদাল, পা রেখেছেন অজি ওপেনের সেমিফাইনালে।

শুরুর দুই সেটে যেভাবে জিতেছিলেন নাদাল, তাতে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা বোধ হয় শেষ হয়ে যাবে ঘণ্টা দেড়েকের ভেতরই। তখনই কানাডিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বী দেনিস শাপোভালভ দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে বসলেন। পরের দুই সেট জিতে নিলেন ৪-৬, ৩-৬ গেমে। তবে শেষ সেটে আর পেরে ওঠেননি তিনি, নাদাল ম্যাচে ফিরেছেন তার চিরচেনা লড়াকু মনোভাব দেখিয়ে, শেষ সেটটা জিতলেন ৬-৩ গেমে। তাতেই জয় নিয়ে শেষ চারে উঠে যান তিনি। 

নাদালের ক্যারিয়ারে এমন লড়াই অনেকই আছে। তবু এই লড়াইকে বিশেষভাবেই হয়তো মনে রাখবেন তিনি। চতুর্থ সেটে পেটের পীড়ায় যে আরেকটু হলে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যেতেন তিনি! ডাক্তারদের সহযোগিতা নিয়েছেন চতুর্থ সেটে, এর কিছু পরই দারুণভাবে তিনি ফিরেছেন ম্যাচে। জিতেছেন পঞ্চম সেট, পাড়ি জমিয়েছেন সেমিফাইনালে।

৩৪ বছর বয়সী এই তারকার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনটাই সবচেয়ে কম জিতেছেন, মোটে একবার। সেই একবারও এসেছে ২০০৯ সালে, প্রায় ১৩ বছর আগে। সেই খরাই এবার কাটানোর দারুণ সুযোগ তার সামনে। শেষমেশ যদি ঘুচিয়েই ফেলেন তিনি, তাহলে লেখা হয়ে যাবে ইতিহাসও। টেনিস ইতিহাসের প্রথম টেনিস তারকা হিসেবে ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতবেন তিনি। 

এই ইতিহাস গড়ার পথে নাদালের আরও দুটো ধাপ পেরোনো বাকি। যার প্রথমটায় আগামী বৃহস্পতিবার খেলতে নামবেন তিনি। প্রতিপক্ষ হবেন মাতেও বেরাত্তিনি কিংবা গেল মঁফিলসদের কেউ একজন। 

এনইউ/এটি