সময় যত গেছে, অপেক্ষা বেড়েছে দেশটির মানুষের। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন- নিজেদের দেশে টেনিসের এই টুর্নামেন্টের শিরোপা ৪৪ বছর জেতেননি কোনো অজি নারী। চার দশকেরও বেশি সময়ের ওই অপেক্ষা অবশেষে ফুরিয়েছে আজ। অ্যাশলে বার্টি তার দেশের মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন। শনিবার অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে তিনি হারিয়েছেন মার্কিন কন্যা ড্যানিয়েল কলিন্সকে। 

পুরো টুর্নামেন্টে একটি সেটেও হারেননি বার্টি। ম্যাচ শেষে নিজের উচ্ছ্বাসের কথা শুনিয়েছেন তিনি। বলেছেন, তার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। ধন্যবাদ জানিয়েছেন আয়োজক, পরিবার, দলের সদস্য ও দর্শকদের।

বার্টি কী বলেছেন

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। কলিন্সকেও অভিনন্দন জানাতে হয়। তোমার জন্য এটা ছিল দারুণ একটা দিন। আমি জানি, ভবিষ্যতে এমন আরও অনেক শিরোপার জন্য লড়বে। 

আমি কিছুটা নির্বাক হয়েছিলাম। আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা পর্দার আড়ালে অনেক কষ্ট করেছেন। এমন একটা আয়োজনের জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এই টুর্নামেন্ট ব্যক্তিগতভাবে আমার অন্যতম পছন্দের অভিজ্ঞতা হলো। 

সব আম্পায়ার, বল আনা বাচ্চারা, যারা সবাই খেলোয়াড়দের জন্য কাজটা করেছেন; আপনারা সবাই বিরামহীন ছিলেন। না হলে আমরা হয়তো হারিয়ে যেতাম।

আমার দল, ওয়াও! অনেকবার বলেছি, আমি অনেক সৌভাগ্যবান একজন; অনেক মানুষ এখানে এসেছেন আমাকে ভালোবেসে ও সমর্থন দিতে। মা, বাবা ও আমার বোন- আমি খুব ভাগ্যবান মেয়ে, যার পাশে পরিবারের অনেক ভালোবাসা আছে।

আমাদের দলে কেউ বদলায়নি। আমরা সবচেয়ে ভালোভাবে কাজটা করতে পারি। আমার মনে হয়, আমি আপনাদের দেওয়া সময়ের জন্য যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা জানাতে পারব না।

একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে এটা ভাগাভাগি করতে পারা। আর আপনারা ছিলেন একদমই ব্যতিক্রম। এই দর্শকরা আমার জীবনে পাওয়া অন্যতম মজার- আপনারা আমাকে রিল্যাক্স থাকতে এবং সেরা টেনিসটা খেলতে উৎসাহ দিয়েছেন। কলিন্সের মতো কারো বিপক্ষে যেটা আমাকে আজকে করতেই হতো।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতা আমার জন্য স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার। আমি একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে গর্বিত। সবাইকে তাই অনেক অনেক ধন্যবাদ, পরের বার আবার দেখা হবে আমাদের।

এমএইচ/জেএস/এটি