গেল মাসে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে ২১ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার রেকর্ড গড়েছেন রাফায়েল নাদাল। সুযোগটা নোভাক জকোভিচেরও ছিল। কিন্তু তিনি সেই সুযোগটাই পাননি করোনার টিকা না নেওয়ায়। অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখে মুখোমুখি হয়েছিলেন নানা ঝক্কিরও। এরপরও জকোভিচ তার করোনার টিকা না নেওয়ার বিষয়ে একেবারে অনড়ই আছেন। জানালেন, টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলে শিরোপা বিসর্জন দিতেও আপত্তি নেই তার।

২০ গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী সার্বিয়ান এই তারকা সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এই কথা। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘এর জন্য যে মাশুলই গুণতে হোক না কেন, আমি মেনে নিতে রাজি আছি। আমার তাতে কোনো সমস্যাই নেই।’

তবে তাই বলে তিনি কারো করোনার টিকা না নেওয়ায় উৎসাহ দেবেন, বিষয়টা মোটেও তেমন নয়। উদারনীতিবাদের সুরে তিনি বললেন, ‘কারো টিকা নেওয়া কিংবা না নেওয়াটা সম্পূর্ণ তার বিষয়। তাদের করোনা টিকা নেওয়া-নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। আমি কখনোই করোনা টিকা নেওয়ার বিরোধী নই। ছেলেবেলায় প্রয়োজনীয় অনেক টিকা নিয়েছি আমি।’

করোনা টিকা নেননি বলে অজি মুল্লুকে দারুণ ঝক্কির মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। সেখানে পা রাখতেই বিমানবন্দরে আটক হন, সেখান থেকে কোয়ারেন্টাইনে। এরপর আদালতে আইনি লড়াইয়ে জয় পান। পান মাঠে নামার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেতও। 

তবে এরপর আবার বাধা আসে তার সামনে। অজি সরকার তার ভিসা বাতিল করে দেয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, করোনা টিকা না নিয়ে তিনি মাঠে নামলে সেটার বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তে পারে সরকার। জনমনে টিকা বিরোধী মনোভাবেরও সৃষ্টি করতে পারে। সে কারণেই তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার বাইরে। 

সেই সমস্যার মুখে আবারও পড়তে পারেন তিনি। ব্রিটেন ও ফ্রান্সে অনুষ্ঠেয় বছরের পরের দুই গ্র্যান্ড স্ল্যাম উইম্বলডন ও ফ্রেঞ্চ ওপেনকে সামনে রেখে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার নিয়ম আসতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সেসব টুর্নামেন্ট না খেলতে পারলেও সমস্যা নেই বলে জানালেন জকোভিচ।

তবে তার আশা, করোনা টিকা নিতে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে ভবিষ্যতে আরও ছাড় দেওয়ার মানসিকতা দেখা যাবে টুর্নামেন্টের আয়োজক ও দেশগুলোর কাছ থেকে। যেটা হলে তার ক্যারিয়ারের ব্যাপ্তিও বাড়বে আরও।

এনইউ