ফাইল ছবি

কোভিড-১৯ এর কারণে সম্প্রতি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা-২০২১-এর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশিত হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে এই সিলেবাস প্রকাশিত হয়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিষয়বস্তু প্রায় ৫০% কমিয়ে নতুন এই পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। যাতে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা যথাসময়ে সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষায় বসতে পারে। তাই পাঠ্যসূচিতে খুবই প্রয়োজনীয় অংশ সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করে অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু বাদ দিয়ে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেই নতুন ঘোষিত এই পাঠ্যসূচির আলোকে শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

শিক্ষার্থীদের বাড়ছে মানসিক চাপ : কোভিড-১৯ এর কারণে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। একধরণের বিষন্নতায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের ভেতরও সেই অস্থিরতা যেন ক্রমশই গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এই মানসিক চাপের একটি বড় কারণ অভিভাবক। তারাও মনে করছেন শিক্ষাজীবন থেকে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান একটি বছর হারিয়ে গেল। শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উভয়েরই এ মানসিকতার পরিবর্তন আনা দরকার। যেহেতু এটি একটি বৈশ্বিক মহামারি। সকলেই একই ক্ষতির সম্মুখীন। কেউই শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারেনি। পড়াশোনার ক্ষতি সবারই হয়েছে।

অভিভাবকদের সাপোর্ট জরুরি : এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সুস্থ মানসিক বিকাশের জন্য অভিভাবকদের সাপোর্ট জরুরি। অস্থিরতাকে আর না বাড়িয়ে কীভাবে তাদের স্বাভাবিক রাখা যায় সে দিকটি গুরুত্বসহকারে ভাবতে হবে। একজন অভিভাবক হিসেবে তাদের সৃজনশীলতা বিকাশে ঘরোয়া খেলাধুলা, কালচারাল বিভিন্ন দিক, সৃষ্টিশীল কর্ম দিয়ে তাদের সময়টাকে আনন্দঘন করে তোলা যেতে পারে। বাবা ও মা’কে ছেলেমেয়েদের সময় দিতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে তাদের নিয়ে কোথাও বেরিয়ে আসতে হবে। এতে তাদের মানসিক অস্থিরতা কমবে।

রুটিন তৈরি করে পড়াশোনা করে যাও :  তোমরা যারা এ বছর যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছো, তাদের হাতে যে সময়টুকু আছে সে সময়টুকুও আর হেলায় নষ্ট করো না। প্রতিদিন নির্দিষ্ট রুটিন করে এখন থেকেই তোমরা পড়াশোনায় মনোযোগী হও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ক্লাস হবে সবই ঠিক আছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো অধিকাংশ শিক্ষার্থী সেই সময়ের অপেক্ষা না করে ভালো রেজাল্টের আশায় নিজেরাই বাড়িতে সিলেবাস শেষ করে ফেলেছে। যেহেতু এখন তোমাদের সিলেবাস আরো সংক্ষিপ্ত  করা হয়েছে। তাই তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি নিশ্চয়ই আরো গোছানো হবে। বাড়তি চাপও থাকবে না।

পরীক্ষার প্রস্তুতি  : নিজে পড়া আর ক্লাসের পড়া কখনোই এক হয় না। তাই এই মুহূর্তে তোমাদের কী করণীয় তা ঠিক করে নাও। আর যেখানে তোমাদের সমস্যা সেটুকু শ্রেণি শিক্ষকের জন্য রেখে দাও। যখন তুমি ক্লাসে ফিরে যাবে তখন বিষয় শিক্ষকের কাছ থেকে তা বুঝে নেবে। এরপর রুটিনভিত্তিক পড়াশোনা তো আছেই তা ঠিকমতো করে যাও। এভাবে গুছিয়ে পড়াশোনা  করলে তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি হয়ে যাবে।

মানসিক চাপ নেবে না : শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই মানসিক চাপ নেয়া যাবে না। সবসময় সবকিছুকে সহজ বলে ভাবতে হবে। তবে সময় ও সুযোগের সদ্ব্যবহার অবশ্যই করবে। যে ভাবনা কেবল অস্থিরতা বাড়াই কিন্তু  তোমাদের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না এমন ভাবনা থেকে দূরে থাকাই উত্তম। এই ক্ষতি কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়, সবার জন্য। তাই ভাববে সবার যা হবে আমারও তাই হবে। এ মুহূর্তে রুটিন মাফিক পড়াশোনা করে যাও তাহলে তোমরা সফলকাম হবেই।

এমকে