ফাইল ছবি

সুপ্রিয় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বাংলাদেশ বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ‘দ্বিতীয় অধ্যায় : ব্রিটিশ শাসন’ থেকে ৩টি যোগ্যতাভিত্তিক কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। পরীক্ষায় যোগ্যতাভিত্তিক কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নের উত্তর তোমরা প্রাসঙ্গিক ও যথাযথভাবে লিখলে পূর্ণ নম্বর পাবে।

প্রশ্ন : ১৮৫৮ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বাংলাসহ ভারতে এক ধরনের শাসন বিদ্যমান ছিলএখানে কোন শাসনের কথা বলা হয়েছে? বাংলায় উক্ত শাসনের প্রভাব ৫টি বাক্যে লিখ

উত্তর : ১৮৫৮ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বাংলাসহ ভারতে ব্রিটিশ শাসন বিদ্যমান ছিল। এখানে ব্রিটিশ শাসনের কথা বলা হয়েছে ।

বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের চারটি প্রভাব নিচে তুলে ধরা হলো-

১. ‘ভাগ করো শাসন করো’ নীতির ফলে এদেশের মানুষের মধ্যে ধর্ম, বর্ণ, জাতি এবং অঞ্চলভেদে বিভেদ সৃষ্টি হয় ।

২. অনেক কারিগর বেকার ও অনেক কৃষক গরিব হয়ে যায় এবং বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।

৩. নতুন নতুন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার ফরে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হয়।

৪. সড়কপথ ও রেলপথ উন্নয়ন এবং টেলিগ্রাফ প্রচলনের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়।

৫. শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে উনিশ শতকে বাংলায় নবজাগরণ ঘটে।

প্রশ্ন : ১৮৫৭ সালে সংগটিত একটি বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাহাদুর শাহ পার্কে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে? বিদ্রোহটির নাম কী? কার নেতৃত্বে বিদ্রোহ শুরু হয় ? উক্ত বিদ্রোহটির ৫টি কারণ লিখ

উত্তর : ১৮৫৭ সালে সংগটিত বিদ্রোহটির নাম সিপাহি বিদ্রোহ ।

মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হয় ।

সিপাহি বিদ্রোহের ৫টি কারণ হলো- ১. সেনাবাহিনীতে সিপাহি পদে ভারতীয়দের সংখ্যাধিক্য ছিল । সেখানে পঞ্চাশ হাজার ব্রিটিশ এবং তিন লক্ষ ভারতীয় সিপাহি ছিল।

২. ভারতের বিভিন্ন এলাকার সৈন্যদের মধ্যে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল ।

৩. ১৮৫৬ সালের পর ভারতের বাইরেও সৈন্যদের কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল ।

৪. কামান ও বন্দুকের কার্তুজ পিচ্ছিল করার জন্য গরুর এবং শুকরের চর্বি ব্যবহারের গুজব নিয়ে ধর্মীয় অশান্তি তৈরি হয়।

৫. সৈন্যদের আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর জন্য সাধারণ মানুষও প্রস্তত ছিল। যার ফলে এ বিদ্রোহ বা আন্দোলন দ্রুতই সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রশ্ন : কত সালে পলাশির যুদ্ধ হয়েছিল? পলাশির যুদ্ধ কেন হয়েছিল? পলাশির যুদ্ধের তিনটি ফলাফল লিখ?

উত্তর : ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধ হয়েছিল ।

নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে শাসন ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার জন্য পলাশির যুদ্ধ হয়েছিল ।

পলাশির যুদ্ধের তিনটি ফলাফল হলো -

১. পলাশির যুদ্ধের মাধ্যমে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয় ঘটে ।

২. এ যুদ্ধের ফলে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে হত্যা করা হয় ।

৩. পলাশির যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলায় ইংরেজ শাসনের ভিওি স্থাপিত হয় ।

এমকে