ফাইল ছবি

সুপ্রিয় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বাংলাদেশ বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ‘তৃতীয় অধ্যায় :  বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান নিদর্শন’ থেকে ৩টি যোগ্যতাভিত্তিক কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। তোমরা পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি অধ্যায় গুরুত্ব দিয়ে পড়বে তাহলে প্রশ্ন কমন না পড়লেও যোগ্যতাভিত্তিক কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবে।

প্রশ্ন : ঐতিহাসিক নির্দশনগুলো কোথায় রাখা হয়? ঐতিহাসিক নির্দশনগুলো আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত কেন?

উত্তর : ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো প্রদর্শনের জন্য জাদুঘরে রাখা হয়।

ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত। কারণ-

১. ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমাদের অতীত সভ্যতার পরিচয় বহন করে।

২. এগুলো অতীতের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির পরিচয় বহন করে।

৩. এগুলো অতীত ইতিহাস জানতে সহায়তা করে।

৪. আমরা এসব ঐতিহ্যে গৌরববোধ করি বলে।

প্রশ্ন : মহাস্থানগড় কোন নামে পরিচিত ছিল ? নগরটি কোন আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ? মহাস্থান গড়ে প্রাপ্ত ৫টি নিদর্শনের নাম লিখ

উত্তর : মহাস্থানগড় ‘পুন্ডনগর’ নামে পরিচিত ছিল।

পুন্ডনগর মৌর্য আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত তিনটি নিদর্শন হলো- ১. প্রাচীন বাহ্মী শিলালিপি, ২. পোড়ামাটির ফলক, ভাস্কর্য ধাতব মুদ্রা, পুঁতি, ৩. ৩.৩৫ মিটার লম্বা `খোদাই পাথর', ৪. চওড়া খাদবিশিষ্ট প্রাচীন দুর্গ, ৫. মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় ভগ্নাবশেষ।

প্রশ্ন : ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো পরিদর্শনের পাঁচটি কারণ লিখ

উত্তর : ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের পাঁচটি কারণ হলো-

১. অতীতের সংস্কৃতি ও সভ্যতা সম্পর্কে জানা যায়।

২. পর্যটকরা এসব স্থান ভ্রমণ করে আনন্দের পাশাপাশি অনেক কিছু শিখতে পারে।

৩. ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল হই।

৪. আমরা ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারি।

৫. আমরা ঐতিহাসিক স্থানগুলোর ছবি সংগ্রহে রাখতে পারি।

এমকে