প্রতীকী ছবি।

মহাকাশ বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বিশেষ সময় হতে চলেছে চলতি মার্চ মাস। কারণ, এ মাসেই সকালের আকাশে শনি, মঙ্গল ও শুক্র গ্রহ একসঙ্গে চলে আসবে। ১৮ মার্চ থেকে এমন অবস্থা শুরু হতে চলেছে বলে জানা গেছে। 

প্রথমে শনি ধীরে ধীরে শুক্র এবং তারপর মঙ্গল গ্রহের দিকে এগিয়ে যাবে। সূর্যোদয়ের আগেই তিনটি গ্রহ একটু নিচের দিকে ত্রয়ী হিসেবে অবতীর্ণ হয়ে পূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে এবং মাসের শেষে অর্ধচন্দ্রের সঙ্গে মিলিত হবে। এই মাসের ২৭ ও ২৮ তারিখ নাগাদ চাঁদ আকাশের এই গ্রহগুলোর কাছাকাছি চলে আসবে। এদিকে, এপ্রিলের শুরুতে শনি এবং মঙ্গল আরও কাছাকাছি চলে আসবে বলে জানা গেছে।

মহাকাশের এই সব ঘটনাসমূহের জন্য আকাশের উপরে নজরদারি চালায় জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি। এই বিশেষ ল্যাব কর্তৃপক্ষ বলছে, মার্চের আকাশে সহজে খুঁজে পাওয়া যায় এমন অনেকগুলো উজ্জ্বল নক্ষত্র রয়েছে, যারা নিজেদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে সক্ষম এবং তারা নিজস্ব প্রদক্ষিণকারী গ্রহ হিসেবেই পরিচিত।

জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির পক্ষ থেকে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ওই উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলোকে শনাক্ত করার চেষ্টা করতে বলা হয়েছিল এবং তারা সরাসরি একটি সম্পূর্ণ অন্য প্ল্যানেটারি সিস্টেম বা গ্রহ ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে থাকবে।

নাসার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বলা হচ্ছে, মার্চ মাসেই এই জাতীয় প্রথম তারাটি দেখা যাবে। তারাটির নাম এপিলসন টাউরি। এটি একটি কমলা বর্ণের বামন তারকা। এটিতে বৃহস্পতির তুলনায় প্রায় চার গুণ ভরের একটি গ্যাস দৈত্য গ্রহ রয়েছে। এই এপিলসন টাউরি ৭ ক্যানিস মেজোরিস দ্বারা অনুসরণ করা হবে, যা আসলে ডগ কন্সটেলেশন বা কুকুর নক্ষত্রমণ্ডলের কেন্দ্রস্থলের তারা। তারাটি জ্বলন্ত উজ্জ্বল সিরিয়াস ধারণ করতে পারে।

এক বিবৃতিতে নাসা আরো জানিয়েছে, এই নক্ষত্রের দুটি গ্রহ রয়েছে বলে জানা যায়। তার একটি গ্যাস দৈত্য, যা বৃহস্পতির ভরের প্রায় দ্বিগুণ এবং আর একটি বৃহস্পতির চেয়ে সামান্য ছোট।

এছাড়াও মহাকাশ বিজ্ঞানীরা তাও গেমিনোরাম নামক আর একটি গ্রহ খুঁজে পেতে পারেন যা জেমিনি বা মিথুনের যমজ সন্তানদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তরে ক্যাস্টরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। বিবৃতিতে নাসা আরো দাবি করছে, লিটল ডিপারের বাটিতে সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রটি হল বেটা উরসে মাইনোরিস, যেটি উত্তরে চারপাশে ঘুরছে। এই নক্ষত্রটির চারপাশের কক্ষপথে একটি ৬-বৃহস্পতি ভরের গ্রহ রয়েছে।

এই এক্সোপ্ল্যানেটগুলো মূলত দীর্ঘ দিন ধরে অনাবিষ্কৃত রয়ে গিয়েছে এবং নতুন পর্যবেক্ষণগুলো এই গ্রহ ব্যবস্থাগুলোতে নতুন অন্তর্দৃষ্টিও আনতে পারে বলে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

এইচকে