হরিয়ানার ডেন্টাল সার্জন নীতেশ তিওয়ারি বেশ কয়েকদিন ধরেই দুর্বলতা অনুভব করছিলেন। ভেবেছিলেন এটা হয়ত সাময়িক ঘটনা। ধীরে ধীরে কেটে যাবে। এরপর একদিন তিনি নিজের 'রিস্ট ওয়াচ' অ্যাপেলের ঘড়িতে ইসিজি করেন। আর এই অ্যাপেলের ওয়াচই তাকে পৌঁছে দেয় কার্ডিওলজিস্টের কাছে।

নীতেশের কাছে ছিল অ্যাপেল ওয়াচ সিরিজ সিক্স। শারীরিকভাবে দুর্বলতা অনুভব করায় তিনি ইসিজি করতেই অ্যাপেল ওয়াচে আসে AFib(আট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন) অ্যালার্ট। রিস্ট ওয়াচে করা প্রথম কয়েকবারের ইসিজিকে সেভাবে আমলে নেননি তিনি। তবে ১২ মার্চ ফের একবার এই ঘড়ির ইসিজি রিপোর্ট সেই একই তথ্য তুলে ধরতেই ভুল ভাঙে চিকিৎসক নীতেশ ও তার স্ত্রীর। ওই একই অ্যালার্ট দেখে তারা ছুটে যান কার্ডিওলজিস্টের কাছে। সেখানেই ধরা পড়ে, নীতেশের হার্টের একটি আর্টারি সম্পূর্ণ ব্লক হয়ে রয়েছে।

নীতেশ বলেন, আমরা প্রথমে এ রিডিং উপেক্ষা করেছিলাম। ভেবেছিলাম ৩০ এর গোড়ার দিকের বয়সে কোনো যুবকের এরিথমিয়া থাকতে পারে না। তবে ১২ মার্চ পর্যন্ত ফলাফল একই দেখাচ্ছিল রিডিংয়ে। ফলে আমি বিশ্বাস করি যে আমার হার্টের স্বাস্থ্য ভালো নেই। যাই চিকিৎসকের কাছে।' 

অ্যাপেল ওয়াচের হাত ধরে এমন ঘটনা রীতিমত স্তম্ভিত করেছে নীতেশের স্ত্রী নেহাকে। তিনি চিঠি লিখেছেন অ্যাপেলের সিইও টিম কুককে। চিঠিতে অ্যাপেল কর্তাকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন এমন একটা ঘড়ির কার্যকারিতা নিয়ে। নেহা লিখেছেন, আমরা হাসপাতালে গিয়েছিলাম শুধুমাত্র ওই প্রযুক্তি দ্বারা চালিত হয়ে। আর আমার স্বামী এখন ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। অনেক ভালোবাসা জানবেন, সুখে থাকবেন। ধন্যবাদ আমার স্বামীকে তার জীবন দেওয়ার জন্য।

অ্যাপেল ওয়াচ নিয়ে নীতেশ বলেন, আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

তিনি জানান, প্রথমে তিনি অ্যাপেল ওয়াচকে শুধুমাত্র একটি ফ্যাশন একসেসরি মনে করেছিলেন। ভাবতে পারেননি এটাই একদিন তার জীবন রক্ষা করবে। 

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

এসকেডি