দীর্ঘদিন ধরে টুইটারে নিষিদ্ধ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এলন মাস্ক টুইটার কেনার পরই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন তিনি এই মাইক্রো ব্লগিং অ্যাপে ফিরে আসছেন না। নিজের সোশ্যাল প্লাটফর্ম লঞ্চের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

ইতোমধ্যেই অ্যাপ স্টোরে আত্মপ্রকাশ করেছে ট্রাম্পের অ্যাপ ‘ট্রুথ সোশ্যাল’। আর লঞ্চের পরেই টুইটার, টিকটকসহ অন্য সব সোশ্যাল প্লাটফর্মকে ছাড়িয়ে অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ স্থান দখল করে নিল নতুন এই অ্যাপ।

এ বিষয়ে টুইট করে এলন মাস্ক জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে অ্যাপ স্টোরে টুইটার ও টিকটককে পেছনে ফেলে দিয়েছে ট্রুথ সোশ্যাল। ইতোমধ্যেই ৫১ হাজারের বেশি রি-টুইট হয়েছে এ পোস্ট। প্রায় ছয় লাখ লাইক পেয়েছে এলনের এই টুইট।

টুইটারে এলন আরও জানান, এতদিন বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে টুইটার। এ কারণেই ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাপের আত্মপ্রকাশ। তবে ট্রাম্পের নতুন সোশ্যাল অ্যাপের নাম একদম পছন্দ হয়নি এলনের। নিজের পোস্টে তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন এই মার্কিন ধনকুবের।

গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে টুইটার। এলন মাস্ক টুইটার কিনে নেওয়ার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সোশ্যাল প্লাটফর্মে ফিরে আসা প্রসঙ্গে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও পরে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন আর টুইটারে ফিরে আসার ইচ্ছা নেই তার। টুইটারকে ‘এক ঘেয়ে’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

যদিও টুইটারকে টেক্কা দিতে অ্যাপ স্টোরে আত্মপ্রকাশ করে ট্রুথ সোশ্যাল। ‘খোলা মনে, বিনামূল্যে, কথোপকথনের জন্য এই প্লাটফর্ম বদ্ধপরিকর’, এমনটা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে টুইটার কিনে নেন এলন মাস্ক। বাক স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিতেই এ সোশ্যাল প্লাটফর্ম কিনেছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি। মাস্ক জানিয়েছিলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় শত্রুও টুইটার ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবেন।’

মূলত বিজ্ঞাপন থেকেই টুইটারের আয় হয়। তাই গ্রাহক সংখ্যার ওপর এই প্লাটফর্মের আয় খুব একটা নির্ভর করে না।

শিগগিরই চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের আর্থিক হিসাব প্রকাশ করতে পারে এই মাইক্রো ব্লগিং ওয়েব সাইট। মনে করা হচ্ছে এই সময়ে ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করে থাকতে পারে এই সোশ্যাল প্লাটফর্ম।

এসএসএইচ