ভার্চুয়ালি কথোপকথন, আড্ডা, মিটিং, গান-বাজনা এমনকি অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য চালু হচ্ছে নতুন ওয়ার্করুম ‘ফেসবুক হরিজন’। এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে মেটাভার্স বা ভার্চুয়াল জগৎ।

ইতোমধ্যে বিশ্বের একাধিক দেশে এই ভার্চুয়াল জগৎ গড়ে তুলেছে ফেসবুক। এই তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, স্পেন। 

গত বছর মার্ক জুকারবার্গ ঘোষণা করেন, ইউনিভার্সের মতোই নতুন জগৎ তৈরি করছে ফেসবুক। যেখানে শারীরিক উপস্থিতি না থাকলেও ভার্চুয়ালি উপস্থিতি থাকবে।

সেই ধারাবাহিকতায় তৈরি করা হয়েছে ফেসবুক হরিজন ওয়ার্করুমস। এটি ফেসবুকের প্রচলিত ভিডিও কনফারেন্সিং সফ্টওয়্যারের একটি বিবর্তন ভার্সন। যা মানুষকে একটি ভার্চুয়াল জগতের স্বাদ দেবে। এমনকি এটি পৃথিবীর মতোই একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে।

এই ভার্চুয়াল জগতে স্বাদ নিতে হলে আপনাকে একটি VR (ভার্চুয়াল রিয়ায়ালিটি) হেডসেট এবং আরও নির্দিষ্টভাবে Oculus Quest 2-এর প্রয়োজন হবে। এছাড়াও একটি একটি ওয়েব অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ওয়ার্করুমের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

এই প্রযুক্তির ফলে আপনি বাস্তব জীবনে আপনার হাত দিয়ে যা কিছু করবেন,  ভার্চুয়াল জগতে তাই করা যাবে। যদিও স্বাভাবিক পৃথিবীতে যেমনটি অনুভূত হয় ঠিক তেমনটা নয়। পাশাপাশি আপনি আপনার ডিভাইসকে সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে কিছু অঙ্গভঙ্গি করার নির্দেশও দিতে পারবেন।

ভার্চুয়াল এই ওয়ার্কস্পেসের মাধ্যমে অপর ব্যক্তি যা বলছে কিংবা আপনি যা বলছেন, তা পৃথিবীর পরিবেশের মতোই শুনতে পাওয়া যাবে। তবে পুরো বিষয়টি আপাতত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ নিয়ে ফেসবুক হরিজন আরও পরীক্ষা চালাচ্ছে।

এএ