টুইটার ‌‌‘সুপার ফলো’ ফিচারের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। বিশেষ এই ফিচারে এক্সক্লুসিভ কনটেন্টের জন্য ব্যবহারকারীদের মূল্য পরিশোধ করতে হবে। শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এই খবর জানা যায়। 

বিনিয়োগকারীদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে নতুন সুপার ফলো ফিচার প্রকাশের পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি বলছে, এতে টুইট করা, কমিউনিটি গ্রুপে যোগ দেয়া অথবা নিউজলেটার গ্রহণ করার সুবিধা রয়েছে। 

প্রথমবারের মতো প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের উপযোগী করে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে। তারা জানায়, নতুন ফিচারে লাইভ অডিও ডিসকাশন সার্ভিসও রাখা হবে যা প্রমাণ করবে প্রতিদ্বন্দ্বী অডিও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ক্লাবহাউসের চেয়ে টুইটার বেশি জনপ্রিয়। টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডর্সি বলেন, ‘কেন এটা শুরু করবো না আমরা এবং কেন মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানত তিনটি কারণে মানুষ আমাদের ব্যাপারে সমালোচনা করা হয়- ধীরগতিতে থাকা, উদ্ভাবন না করা ও আস্থাভাজন না হওয়া।’ বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, ২০০৬ সালে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটি লঞ্চিংয়ের পর ২০১৮ সালে রেকর্ড পরিমাণ বার্ষিক মুনাফা অর্জন করে এবং তারা ২০২৩ সালের মধ্যে দ্বিগুণ রাজস্ব অর্জনের আশা করছে। ২০২০ সালে তাদের রাজস্ব ছিলো ৩৭০০ কোটি ডলার। সেখান থেকে ২০২৩ সালে ৭৫০০ কোটি ডলার রাজস্ব সংগ্রহের আশা করছে তারা। 

সিসিএস ইনসাইটের বিশ্লেষক বেন উড বলেন, ‘নিঃসন্দেহে টুইটার নতুন সার্ভিসটির মাধ্যমে আরও রাজস্ব অর্জনের চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বড় সোশ্যাল মিডিয়াটিতে যেসব ব্যবহারকারী কনটেন্ট প্রকাশ করেন তাদের নতুন এই সার্ভিস আকৃষ্ট করবে। তবে আমি মনে করছি না টাকা দিয়ে গড় ব্যবহারকারীরা নতুন সার্ভিস থেকে খুব বেশি সুবিধা পাবে না।’ 

টুইটারের নতুন ফিচার প্রকাশের পরিকল্পনার খবরে ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া কনসাল্ট্যান্ট ম্যাট নাভারা অনুসরণকারীদের কাছে প্রশ্ন করেন, তারা কি তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে নতুন ফিচার ব্যবহারের জন্য পেমেন্ট করতে রাজি আছে? এসময় ৮৫ শতাংশ ব্যবহারকারী বলেন, তারা সেটি করতে চায় না। টুইটারের একজন মুখপাত্র বলেন, চলতি বছরে সুপার ফলো ফিচারটি লঞ্চিং করা হবে।

এইচএকে/এএস/এএ