সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক দলের ওপর অস্থায়ী সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার ব্লগপোস্টে তারা এ কথা জানায়। ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর দেশটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উসকানিমূলক কনটেন্ট সরানোর অভিপ্রায়ে কয়েক মাস সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমে রাজনৈতিক, নির্বাচনী ও সামাজিক প্রচারণা প্রকাশ করা নিষিদ্ধ ছিলো। 

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত সিনেট নির্বাচনের সময়ে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল রাজনৈতিক প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। কিন্তু চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পসমর্থকরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তারা আবার রাজনৈতিক প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। গত সপ্তাহে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে গুগল। 

রাজনৈতিক প্রচারে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান দলের সমালোচকরা বলছেন, গুগল ও ফেসবুকের এ নিষেধাজ্ঞা স্পষ্ট নয় এবং তারা উসকানিমূলক কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। বুধবার ফেসবুকে রাজনৈতিক প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগে ডেমোক্রেটিক কংগ্রেশনাল ক্যামপেইন কমিটি ও ডেমোক্রেটিক সিনেটোরিয়াল ক্যামপেইন কমিটি বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কতদিন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাখতে চায় সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানায়নি এবং রাজনৈতিক প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে ভোটারদের সঙ্গে প্রার্থীদের যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। 

রাজনৈতিক প্রচারে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ব্লগপোস্টে ফেসবুক উল্লেখ করেছে, ‘রাজনৈতিক, নির্বাচনী ও সামাজিক বিজ্ঞাপনের বিষয়ে তারা কোনো ধরনের পার্থক্য সৃষ্টি করে না ও আগামী মাসে প্রয়োজনে আরও পরিবর্তন করা হবে।’ তারা বলেছে, ‘রাজনৈতিক ও নির্বাচনী প্রচারেরন বিষয়ে আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ এসেছে এবং বিষয়টি নিয়ে আমরা যথাসাধ্য ভেবে দেখেছি।’ এসময় সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হবে বলেও জানানো হয়।

সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন

এইচএকে/এএ