চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই সময়ে শিশুদের যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে দেশব্যাপী মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দিচ্ছে ‘মজারু’।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, করোনাকালে শিশুদের অভিভাবকদের কাছে এক চিন্তার নাম ছিল প্রযুক্তি। ঘরের চার দেয়ালের মাঝে বন্দি থাকা অবস্থায় শিশুরা যেন প্রতিনিয়ত ঝুঁকে পড়ছিল মোবাইল ফোন, ট্যাব ও কম্পিউটারের মতো বিভিন্ন প্রযুক্তির প্রতি। আর করোনাকালে এই অনলাইন প্রযুক্তির নানা রঙের ছোঁয়ায় শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্ক থেকে বই যেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছিল। এমনি সময় অনলাইনে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আসে শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম মজারু।

বিজ্ঞপ্তিতে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, যে মোবাইলের কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল, মজারু সেই মোবাইলের মাধ্যমেই পড়াশোনা নিয়ে আসে। মূলত মজারুর যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের দক্ষিণের অবহেলিত এক জেলা শহর সাতক্ষীরায়।

করোনা মহামারীর সময় যখন সব স্কুল বন্ধ হয়ে যায়, তখন সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুলে অনলাইনের মাধ্যমে তার শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে মজারু। ঠিক তখনই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলাউদ্দিন ফারুকী প্রিন্সের মাথায় এলো, এভাবে তো স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে সারাদেশের শিশুদের মধ্যেও মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এভাবেই যাত্রা শুরু করে মজারু। মজারুর মূল দর্শন হলো মজার ছলে পাঠদান। মোবাইল যখন হাজারো শিক্ষার্থীর ঝড়ে পরার কারণ, মজারু তখন সেই মোবাইলেই এক লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করছে।

শিশুদের ভাষাগত দক্ষতা, গাণিতিক দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিকে সামনে রেখে মজারু তাদের সকল কোর্স ডিজাইন করে থাকে। মজারু চায় ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে দেশব্যাপী মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দিতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ দেশের সেরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখানে ক্লাস নিচ্ছেন। ভারত থেকেও এক ঝাঁক শিক্ষক মজারুতে শিশুদের ব্রেন ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত কোর্সগুলোতে ক্লাস নিচ্ছেন। মজারু শিক্ষা ব্যবস্থায় আনছে পরিবর্তন। এর মাধ্যমে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার শিখছে শিশুরা।

এসআই/কেএ