এআই দ্বারা চালিত চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি গত কয়েক মাস ধরে প্রযুক্তি বিশ্বে ব্যাপকভাবে সাড়া পেয়েছে। এটি মানুষের চাহিদা বুঝে তাকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারে।

গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই চ্যাটজিপিটিকে তাদের সার্চ ব্যবসায় হুমকি হিসেবে দেখছেন।

টেক জায়ান্ট গুগল চলতি বছরের মে মাসে তাদের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে কমপক্ষে ২০টি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত টুল এবং একটি সার্চ চ্যাটবট চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

একটি স্লাইড ডেক অনুসারে, এআই টেক জায়ান্টের প্রকল্প গুলোর মধ্যে রয়েছে ইমেজ জেনারেটর টুল, এআই টেস্ট কিচেনের একটি আপগ্রেড সংস্করণ, ইউটিউবের জন্য একটি টিকটক স্টাইলের গ্রিন স্ক্রিন মোড এবং এমন একটি টুল যা ভিডিও ক্লিপ ছোট করে কন্টেন্ট বানাতে পারে।

স্লাইড ডেকটিতে কপিরাইট, গোপনীয়তা এবং অ্যান্টিট্রাস্টকে এআই প্রযুক্তির প্রাথমিক ঝুঁকি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। পিচাই গত মাসে গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিনের সঙ্গে বর্তমান নেতাদের একটি বৈঠক করিয়েছেন। সেখানে তারা এআই পরিকল্পনা পর্যালোচনা করেছেন এবং ইনপুট নিয়েও আলোচনা করেছেন।

অন্যদিকে গুগলে চ্যাটজিপিটি অনুসন্ধান রেকর্ড মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। চীন চাহিদার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে। যদিও প্রতিবেদনগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে স্থানীয় প্রযুক্তি জায়ান্টরা এই টুলের বিরোধিতা করছে।

সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টেনসেন্ট উইচ্যাট প্ল্যাটফর্ম থেকে চ্যাটজিপিটি সম্পর্কিত প্রোগ্রামগুলি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ফিনবোল্ডের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী চ্যাটজিপিটি শব্দটির জন্য গুগল অনুসন্ধানের সংখ্যা বেড়ে ৯২-এ পৌঁছেছে।

এবছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের দিকে স্কোরটি ১০০ তে পৌঁছেছিল। ২০২২ সালের ৩০ শে নভেম্বর যখন এই টুলটি চালু করা হয়েছিল, তখন এই শব্দটির স্কোর ১ এরও কম ছিল।