আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে (এআই) চলতি দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বলে অবহিত করেছেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

মঙ্গলবার এক ব্লগপোস্টে তিনি বলেন, এআই হচ্ছে মাইক্রোপ্রসেসর, পারসোনাল কম্পিউটার, ইন্টারনেট বা মোবাইল ফোনের মতো মৌলিক আবিষ্কার।

তিনি বলেন, এই প্রযুক্তি মানুষের কাজের পরিবেশ, শিক্ষা ব্যবস্থা, ভ্রমণ, স্বাস্থ্য সেবা ও যোগাযোগমাধ্যমের আমূল পরিবর্তন করবে।

তিনি চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কেও বলেন।

ওপেন এআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটি হলো এমন এক ধরনে চ্যাটবট, যা যেকোনো প্রশ্নের দ্রুত উত্তর দিতে সক্ষম। অনেকটা মানুষের মতোই।

এই দলটিতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে মাইক্রোসফট। ফলে চ্যাটজিপিটির একজন অ্যাডভাইজর হিসেবে এখনো কাজ করছেন বিল গেটস।

তবে এটিই একমাত্র এআই বেসড চ্যাটবট নয়, সম্প্রতি গুগলও তাদের চ্যাটবট বার্ড অবমুক্ত করেছে

গেটস বলেন, আমি গুগলের বার্ড ব্যবহারকারীদের তালিকাও রয়েছি। দেখার চেষ্টা এটি কতটা উন্নত। যা আমাকে জীবন সম্পর্কে আধ্যাত্মিক জ্ঞান দিতে পেরেছে।

মি. গেটস বলেন, আমি ওপেন এআই দলের সঙ্গে ২০১৬ সালে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজের জন্য মিটিং করি।

গেটস তার ব্লগে বলেন, তিনি ২০২২ সালে ওপেনএআই দলকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, এআইকে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করতে যাতে এটি যেকোনো অ্যাডভান্স লেভেলের জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।  

তিনি বলেন, আমি এতদিন জিউআই প্রযুক্তিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতাম। এই ১৯৮০ সালের দিকে প্রস্তুত হয়। যা উইন্ডোজ ও ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমকে সামনের দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছে। 

ঠিক একইভাবে এআই প্রযুক্তিও সমানের দিনগুলোতে আমাদের প্রযুক্তি দুনিয়াকে নেতৃত্ব দেবে বলে আমার বিশ্বাস।

বিল গেটস ঝুঁকি কমাতে সরকারকেও শিল্প প্রতিষ্ঠানে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার করতে বলেছেন।