২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে গ্রামীণফোনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ১০ লাখ নতুন গ্রাহক। ফলে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা এখন ৮ কোটি ১০ লাখ। যাদের ৫৪.৩ শতাংশ ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন।

এছাড়া প্রথম তিন মানে ৩৭৩৪.৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৮ শতাংশ বেশি। 

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, গত বছর বাংলাদেশে গ্রাহকদের সেবা প্রদানের এবং সমাজের ক্ষমতায়নের ২৫ বছর উদযাপন করেছে গ্রামীণফোন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের সক্ষমতা ও গ্রাহক সন্তুষ্টি বারবার মূল্যায়নের পরে সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। সিম বিক্রি পুনরায় চালু হওয়ার পরে আমাদের গ্রাহক সংখ্যা আবার প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসে এবং আমরা ৮ কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অব্যাহত নেটওয়ার্কে বিনিয়োগের কারণে তরঙ্গ ও সাইট চালু করার ক্ষেত্রে আমাদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটে। আমরা আমাদের ফাইবার কানেক্টিভিটি দ্বিগুণ করেছি এবং সবমিলিয়ে ২০ হাজারের বেশি সাইট চালু করেছি। এর মাধ্যমে ভবিষ্যত উপযোগী ডেটা নেটওয়ার্কের ভিত্তি তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের জন্য উন্নতর অভিজ্ঞতা প্রদান এবং দেশের এক নম্বর নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। 

গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ইয়েন্স বেকার বলেন, ৬১ শতাংশ মার্জিন নিয়ে ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের ইবিআইটিডিএ বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৭ শতাংশ। ২০.৯ শতাংশ মার্জিন নিয়ে এ প্রান্তিকে নিট মুনাফা হয়েছে ৭৭৯.৭ কোটি টাকা। গত বছর তরঙ্গ অধিগ্রহণের উচ্চ অবচয়, নতুন সাইট চালু করা এবং বেশি আর্থিক ব্যয়ের কারণে বছরপ্রতি নিট মুনাফার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে।  এ প্রান্তিকে ফোরজি নেটওয়ার্ক, কাভারেজ বিস্তৃতি ও তরঙ্গ স্থাপনে গুরুত্বারোপ করে গ্রামীণফোন মূলধন ব্যয় (লাইসেন্স, লিজ ও এআরও ব্যতীত) হিসেবে ৬৯১.২৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে কর, ভ্যাট, শুল্ক, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দ বাবদ ২,৪০০ কোটি টাকা সরকারি কোষগারে জমা দিয়েছে, যা এর মোট রাজস্বের ৬৪.১ শতাংশ।