দেশজুড়ে ৪জি নেটওয়ার্ক চালু করেছে গ্রামীণফোন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এ ঘোষণা দেয় দেশের বৃহত্তম টেলিকম প্রতিষ্ঠান।

রোববার (২৮ মার্চ) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে সন্ধ্যায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প অর্জনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ‘সম্ভবের ৫০’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয় গ্রামীণফোন। আজ থেকে ১৫ হাজার ৫০০ টাওয়ারে শতভাগ ৪জি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার মোবাইল ফোন গ্রাহকদের কাছে গুণগত মানের সেবা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে কেবল প্রবেশ করলাম। গ্রামীণফোনের এমন সুখবর প্রত্যাশাও করিনি। কারণ আমাদের মোবাইল সেবা ১৯৮৯ সালে যাত্রা শুরু করে। জিএসএম প্রযুক্তি যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। ওই সময়ে মোবাইলের মনোপলি ভেঙ্গে নতুন যুগের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান, আগামী দিনের অগ্রগতির সম্পূর্ণ নির্ভর করবে ইন্টারনেট সেবার ওপর। শুধু টেলকো খাত নয় সব ধরনের জায়গায় ইন্টারনেট কাজে লাগাতে হবে। প্রস্তুত থাকেন, আমরা কিন্তু ৫জির যুগে যাচ্ছি। আমাদের প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। আমাদের ইচ্ছে আছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে চালু করার। তবে ৫জি চালু হওয়া মানে এই নয় যে ৪জির গুরুত্ব কমে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা আগে কথা বলতাম ফিক্সড ফোনে। যখন মোবাইল ফোন এলো তখন মনে করল স্বাধীনতা এলো। সবাই সবার সঙ্গে ভয়েস কল করতে পারত। এটাই আসলে বাস্তবতা।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৩ সালে আমরা ৩জিতে প্রবেশ করি। মোবাইল প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ শুরু হয়। এরপর ২০১৮ সালের মধ্যে ৪জির কথা ভাবতে হয়েছে। আমার জন্যে একটু আনন্দের বিষয় যে আমি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে ৪জির যাত্রা শুরু হয়। প্রথম যখন যাত্রা শুরু হয় তখন অনেকেই পার্থক্য বুঝতে পারেনি। পরে দেখলাম দেশের জনগণ প্রযুক্তি সম্পর্কে অনেক সচেতন।

গ্রামীণফোনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৪জি সেবার যে অগ্রগতি রয়েছে, কারিগরি ও অন্যান্য দিক থেকে সবচেয়ে ভালো সেবা দিবে গ্রামীণফোন, এটাই প্রত্যাশা করি। দেশের প্রায় অর্ধেক গ্রাহকই প্রতিষ্ঠানটির। দেশের ইতিহাসে এটি মাইলফলক হিসেবে থাকবে।

একে/ওএফ