এআই এলেও ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা, যে রোবট কাজ করবে তা আমাদেরই দেশের মানষুরাই তৈরি করবে। প্রযুক্তি মানুষের কাজ বিলুপ্ত করবে, তা হবে না। রোববার বিপিও সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম অনুষঙ্গ ডিজিটাল সংযোগ উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, যে কোনে গ্রামে সংযোগ দিতে তার মন্ত্রণালয় প্রস্তুত। দক্ষ মানুষও এখন তৈরি করছে সরকার।   

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সামিটে ১৫টি স্টলে নিজেদের সেবা তুলে ধরার পাশাপাশি ফ্রেশ গ্র্যাজ্যুয়েটদের সিভি গ্রহণ করে বাক্কো সদস্যভূক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। ৯টি সেমিনারে উঠে আসে প্রান্ত থেকে বিশ্ব জয়ের অন্যতম খাত হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের বিপিও খাতকে ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত হলো সমাপনীতে। 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। 

অনুষ্ঠানে বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন জানান, জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকার ৯টিসহ দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ের মোট সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ১৬টি। এছাড়াও ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তরুণদের জন্য অনুষ্ঠিত হয় কর্মশালা। এছাড়াও গত মে থেকে শুরু হওয়া বিপিও সামিটে মোট ৮০০০ এর বেশি সিভি জমা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সামিটে অংশগ্রহণ করে প্রায় ৬০ লক্ষ নেটিজেন।   
 
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সম্প্রসারণে পলিসিগত দিক থেকে সকল সহায়তা প্রদান করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অংশগ্রহণকারী ও অংশীজনদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।