লোগো পরিবর্তন হলেও মাইক্রোব্লগিং বাজার দখল করে রেখেছে টুইটার। টুইটারকে টক্কর দেওয়ার জন্য মেটা প্রধান মার্ক জুকারবার্গ জুলাইয়ের শুরুতে থ্রেডস অ্যাপ চালু করেন। 

প্রথমদিকে বিশ্ব জুড়ে দৈনিক নতুন ব্যবহারকারীর হিসেবে টুইটারকে ভালোই টক্কর দিয়েছিল এই নতুন অ্যাপ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যাত্রা শুরুর একমাসের মধ্যেই থ্রেডসের ব্যবহারকারীর সংখ্যায় ব্যাপক ধস নেমেছে। প্রথম ৩০ দিনেই প্রায় ৭৯ শতাংশ ব্যবহারকারী হারিয়েছে থ্রেডস।

সিমিলারওয়েবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ জুলাই এই থ্রেডস অ্যাপের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৪৯.৩ মিলিয়ন। সেখানে ঠিক একমাসের ব্যবধানে ৭ আগস্টে ওই অ্যাপে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৩ মিলিয়নে। আবার ৭ জুলাইয়ের হিসাবে বিশ্ব জুড়ে থ্রেডস অ্যাপের সক্রিয় ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে ১৪ মিনিট সময় ওই অ্যাপে ব্যয় করতো। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই থ্রেডস ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে ২১ মিনিট সময় ওই অ্যাপে ব্যয় করত। সাম্প্রতিক রিপোর্টে সেই সময়টা কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ মিনিটে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, টুইটারের দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যার কাছে থ্রেডসের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় কিছুই নয়। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে টুইটারের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ মিলিয়নেরও বেশি। যারা টুইটারে প্রতিদিন গড়ে ২৫ মিনিট সময় কাটান। 

আনুষ্ঠানিক যাত্রার সময় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এই অ্যাপকে ‘টুইটার কিলার’ হিসেবে অভিহিত করছিল। উন্মুক্ত হওয়ার ৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫০ লাখ ব্যবহারকারী এতে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। 

মার্ক জুকারবার্গ বলেছিলেন, ‘এটি বড় হতে সময় নেবে। কিন্তু আমি মনে করি ১০০ কোটি ব্যবহারকারী সমৃদ্ধ একটি কথোপকথন অ্যাপস থাকা উচিত। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও টুইটার এটি করতে পারেনি। তবে আশা করি আমরা পারব।’