ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে স্মার্টফোন। তাইতো এক মুহূর্ত স্মার্টফোন ছাড়া চলার কথা এখন কল্পনাও করা যায় না। তাই নিত্য ব্যবহার্য এই ফোনটি কোনো কারণে নষ্ট হয়ে গেলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। যতদিন বিকল হয়ে যাওয়া ফোনটি ঠিক না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনের প্রতিটি কর্মকান্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে।

মনে রাখতে হবে স্মার্টফোন মানে ইলেকট্রনিক ডিভাইস। তার ব্যাটারিতে একাধিক কেমিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয়। সেগুলোর মেয়াদ একটা সময়ের পর শেষ হয়ে যায়। তবে স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও মেয়াদ নেই। এতে প্রয়োজন মতো ব্যাটারি বা অন্যান্য পার্টস পরিবর্তন করে ব্যবহার করা যেতে পারে। অর্থাৎ স্মার্টফোনের এক্সপায়ারি ডেট বলে কিছু নেই।

অনেকেই ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। কোনো রকমের রিপ্লেসমেন্ট ছাড়াই বহু বছর ধরে নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের ফোনে যে চিপ এবং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয় তা বছরের পর বছর চলতে থাকে।

তবে বর্তমানে স্মার্টফোন নির্মাতারা ২-৩ বছর পর স্মার্টফোনের সফটওয়্যার আপডেট করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে পুরনো স্মার্টফোন আর ব্যবহারযোগ্য থাকে না। অনেকক্ষেত্রে কোম্পানি দুই থেকে তিন বছর পর ওই নির্দিষ্ট মডেলের অ্যাকসেসরিজ তৈরিও বন্ধ করে দেয়।

তবে প্রশ্ন হচ্ছে স্মার্টফোন কখন পরিবর্তন করা উচিত? আসলে ফোন ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করছে এই প্রশ্নের উত্তর। অনেকেই ঘন ঘন নিজেদের স্মার্টফোন পরিবর্তন করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহারযোগ্য, ততক্ষণ তা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রয়োজনে খারাপ ব্যাটারি এবং স্ক্রিন পরিবর্তন করেও ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে।