সরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক জটিলতা নিরসন করতে নেওয়া হয়েছে নতুন উদ্যোগ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করতে ‘ন্যাশনাল রোমিং’ (আন্তঃঅপারেটর নেটওয়ার্ক শেয়ারিং) নামের সেবা চালু করা হয়েছে। এর ফলে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের গ্রাহকরা।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিসি অডিটোরিয়ামে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই সেবার উদ্বোধন করেন।

জানা গেছে, বিষয়টি আরো আগেই অনুমোদন দিয়েছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তাছাড়া বর্তমানে রবি ও টেলিটকের মধ্যেও নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

দেশে বাংলালিংকের চার কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার এবং টেলিটকের ৬৪ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এর বিপরীতে বাংলালিংকের টাওয়ার রয়েছে সাড়ে ১৪ হাজার। আর টেলিটকের টাওয়ার রয়েছে মাত্র ৮৩০টির মতো। ফলে প্রত্যন্ত এলাকা এমনকি মূল জেলা শহর ও খোদ রাজধানীতেও টেলিটকের দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে গ্রাহকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

তবে এমন উদ্যোগের শুরুতে দুহাজার টেলিটক গ্রাহক এই সেবার আওতায় আসবেন। পরে ধীরে ধীরে এর পরিধি বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর কোম্পানি আইন-১৯৯৪ এর অধীনে দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধন নিয়ে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়। ওই তারিখেই টেলিটক ‘কমেন্সমেন্ট অব বিজনেস’ সার্টিফিকেট অর্জন করে। পরে ২০০৫ সালের ৩১ মার্চ টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়। তবে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হওয়ার কারণে টেলিটকের নেটওয়ার্ক নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এরপরও এরইমধ্যে দেশের ৬৪টি জেলা, ৪০২টি উপজেলাসহ বেশিরভাগ হাইওয়ে টেলিটকের কভারেজের আওতায় এসেছে।

আরএইচটি/জেডএস