ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে অনেকেই চকচকে ল্যাপটপ স্ক্রিন থেকে অ্যান্টি-গ্লেয়ার ম্যাট ডিসপ্লে লাগান। এই ম্যাট ডিসপ্লেগুলো অন্যান্য ডিসপ্লের মতো আঙুলের ছাপ পড়ে না। অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কেন আমাদের স্মার্টফোনের স্ক্রিন এই নিফটি ম্যাট কভারের সঙ্গে পাওয়া যায় না। তবে এখন ফোনের জন্যেও ম্যাট স্ক্রিন প্রটেক্টর পাওয়া যেতে পারে। যদিও এর নানাবিধ সুবিধা এবং অসুবিধা দুটিই রয়েছে। 

ম্যাট স্ক্রিন গ্লাসের ইতিবাচক দিক

কভার কম নোংরা হয়

আমাদের মাঝে মাঝে ঘামে হাতের তালু ভিজে যায়। এতে ফোনে আঙুলের ছাপ পড়ার সমস্যা হয়। অনেক সময় ফোনের স্ক্রিনও তেলতেলে হয়ে যায়। ম্যাট স্ক্রিনেও কিছুটা তেলা ভাব লেগে থাকতে পারে। তবে এটি একটি চকচকে স্ক্রিনের চেয়ে ভাল।

কোনো রিফ্লেকশন নেই

উজ্জ্বল আলো বা জানালার বাইরে বা কাছাকাছি ফোন ব্যবহার করার চেষ্টা করলে স্ক্রিনের রিফ্লেকশনের কারণে ফোনের স্ক্রিন দেখাই যায় না। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২৪ আলট্রা একটি বিশেষ লেয়ার দিয়ে এই সমস্যা ঠিক করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও এই সমস্যা রয়েই গেছে। এক্ষেত্রে মানসম্পন্ন ম্যাট প্রোটেক্টর এই রিফ্লেকশন অনেকটাই কমিয়ে দেয়।

গেমিং গ্রিপ

গেমিং সেশনের সময় হাতের তালু ঘামে স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেলে ম্যাট আরো ভালো গ্রিপ দেয়। ম্যাট স্ক্রিন টেক্সচার আমাদের সামগ্রিক ভাবে ফোনে ভালো নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

এবারে দেখা যাক নেতিবাচক দিক 

ম্যাট প্রোটেক্টর সরাসরি ফোন দেখার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ফোনের কোনো একটি অ্যাঙ্গেল থেকে এক্ষেত্রে ফোন দেখা সত্যি কষ্টকর।

গ্রেনি ইফেক্ট

ফোনের রিফ্লেকশন কমাতে গিয়ে এক্ষেত্রে ফোনে গ্রেনি ইফেক্ট বেশি দেখা যায়। ভিডিও বা ছবি দেখার সময় এটি সবচেয়ে বিরক্তিকর।

টেক্সচার

এই ধরনের ফোনে সাধারণত টেক্সচারটি সমতল হয় না। তবে একবার ম্যাট গ্লাসে অভ্যস্ত হয়ে গেলে অনেকের কাছেই এটি প্রিয় হয়ে ওঠে।