প্রতিদিন ভুয়া খবর ও অসত্য তথ্যে সয়লাব হচ্ছে ফেসবুক। অনেক ব্যবহারকারীর কাছে এটি বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছে। ফেসবুকও একে বড় সমস্যা হিসেবে দেখছে। 

সোমবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে, অসত্য তথ্যের প্রচার ও প্রসার যাতে না হয় সে কারণে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন একটি ফিচার চালু করা হবে। ফিচারটি চালু করা হলে কনটেন্ট শেয়ারের আগে ব্যবহারকারী পড়তে বাধ্য হবেন। 

ফেসবুকের এক মুখপাত্র প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জকে বলেন, প্রথমে বিশ্বব্যাপী ৬ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর জন্য ফিচারটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। অসত্য তথ্য ও ভুয়া সংবাদ থেকে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই এটি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের দ্য প্রম্পট ম্যাগাজিনের এক নিবন্ধে বলা হয়, ‘ফেসবুকে কনটেন্ট শেয়ারের আগে ব্যবহারকারীরা সেই কনটেন্ট পড়তে বাধ্য হবেন। এখন থেকে কনটেন্ট না পড়ে শেয়ার করার সুবিধা থাকছে না।’ 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে বলা হয়, অনেক সময় আকর্ষণীয় শিরোনাম দেখে ব্যবহারকারীরা কনটেন্ট শেয়ার করেন। অসত্য তথ্য শেয়ারের ফলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। সে কারণে ফেসবুকে পরীক্ষামূলক নতুন ফিচার চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কনটেন্ট না পড়ে শেয়ার করতে পারবেন না। 

প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ম্যাশেবল বলেছে, পরীক্ষামূলকভাবে ফেসবুকের নতুন ফিচার চালুর আগে টুইটারও গত বছরের জুনে এ ধরনের একটি ফিচার চালু করেছিল। কয়েক মাস পর দেখা যায়, টুইটারে কনটেন্ট শেয়ারের জন্য ৪০ শতাংশ ব্যবহারকারী কনটেন্ট পড়েছেন এবং ৩৩ শতাংশ রি-টুইট করেছেন। অল্পসংখ্যক ব্যবহারকারী কনটেন্ট পড়ার পর তথ্যের অসামঞ্জস্যতার কারণে শেয়ার করেননি। ফেসবুক টুইটারের চেয়ে সব দিক দিয়ে আলাদা। তবুও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন ফিচারটির পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া সফল হবে। 

ম্যাশেবল/এইচএকে/এএ