ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর তথ্য বার বার ছড়ালে ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি এক ব্লগপোস্টে এমন তথ্য জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। 

শেয়ার করা তথ্য যাচাইয়ের জন্য ফেসবুক সাধারণত সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে। এ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের চিহ্নিত করা কোন বিভ্রান্তিকর তথ্য কেউ ফেসবুকে শেয়ার করলে তার নিউজফিডের কার্যকারিতা হ্রাস পাবে। ফলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর দায়ে ব্যবহারকারীর পরবর্তী পোস্ট অন্য কারও ওয়ালে দেখাবো না বা কম দেখাবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্যাক্ট চেকিং সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কাছে কোনও কনটেন্ট বিভ্রান্তিকর মনে হলে সেটি ব্যবহারকারীদের জানানো হবে। সম্প্রতি এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে ফেসবুক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি আরও বলছে, বিভ্রান্তিকর তথ্যের ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দেওয়ার জন্য তারা বিশেষ নোটিফিকেশনের কাজ শুরু করেছে। 

করোনা মহামারির সময়ে ফেসবুক, টুইটারসহ অন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বেশি। এ বিষয়ে ফেসবুক বলেছে, ‘আমাদের অ্যাপে ব্যবহারকারীদের কাছে যেন ভুল তথ্য কম পৌঁছায় সেটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করছি। করোনাভাইরাস ও ভ্যাকসিন, জলবায়ু পরিবর্তন, রাজনৈতিক অথবা যেকোনো বিষয়ে কেউ বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করলেই তার ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি এক ব্লগপোস্টে উল্লেখ করেছিল ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে তারা ১৩০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরিয়েছে।

এইচএকে/আরআর/এএ