ফেসবুকে রাজনীতিবিদরা আর বিশেষ সুবিধা পাবেন না। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ব্যবহার করে তারা মিথ্যা তথ্য ছড়ালে এখন থেকে সেই পোস্ট সরিয়ে ফেলা হবে। শুক্রবার প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জ এ খবর জানিয়েছে। 

দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকে রাজনীতিবিদদের মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ব্যাপারে নীতিনির্ধারক, সাংবাদিক ও কর্মীদের কাছে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে ফেসবুক। অনুমান করা হচ্ছে, তাদের সমালোচনার কারণেই রাজনীতিবিদদের বিশেষ সুবিধা তুলে নিল ফেসবুক। শুক্রবার প্ল্যাটফর্মটির নতুন নীতিমালায় এ নিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়। 

চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক ক্যাপিটাল হিলে ট্রাম্পসমর্থকরা হামলা চালায়। এ হামলার নেপথ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানি দেন। এ অভিযোগে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম থেকে তাকে প্রথমে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে শুক্রবার ওভারসাইট বোর্ড ঘোষণা দেয়, ২০২৩ সাল পর্যন্ত ফেসবুকে নিষিদ্ধ থাকবেন ট্রাম্প। 

চলতি বছরের এপ্রিলে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী রাজনীতিবিদরা ফেসবুক ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর প্রমাণ থাকার পরেও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক। দ্য গার্ডিয়ান ছাড়াও অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে ফেসবুকের ব্যর্থতার ব্যাপারে সমালোচনা হয়েছে। এসব সমালোচনার প্রেক্ষাপটে ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড প্ল্যাটফর্মটিকে নতুন নীতিমালা ঘোষণার জন্য সুপারিশ করেছে। 

ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড বলেছে, রাজনীতিবিদদের পোস্টের সংবাদমূল্য বিবেচনায় সেগুলো মুছে ফেলার যে নিয়ম ফেসবুকে রয়েছে, মূলত তার সুযোগ নিয়ে ক্রমাগত মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেলায় সে নিয়ম মানা হয়নি। 

ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড আরও বলেছে, ক্ষতি কমাতে যখন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে তখন সংবাদমূল্য বিবেচনার নিয়মকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘটনা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানাতে ছয় সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ফেসবুক। কিন্তু প্ল্যাটফর্মটি এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। 

উল্লেখ্য, ফেসবুক ও টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো শুরু থেকে রাজনীতিবিদদের পোস্ট সরাতে অনীহা প্রকাশ করে এসেছে ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে এসেছে। 

এইচএকে/এএ