আইওএসের ‘সাইডলোডিং’ অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করছে হ্যাকাররা।

সম্প্রতি আইফোন নির্মাতা অ্যাপল জানিয়েছে, অ্যাপস্টোরের একাধিক অ্যাপে ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে হ্যাকাররা তথ্য চুরি করছে। তাই এ বিষয়ে ব্যবহারকারীকে সতর্ক থাকতে হবে।

কিন্তু ‘সাইডলোডিং অ্যাপ’ সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কী ভাবছে অ্যাপল? সেটি নিয়েও নানা মহলে উঠছে প্রশ্ন।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ দিন ধরে আইওএসের ‘সাইডলোডিং অ্যাপে’ ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করা হচ্ছে। ফলে সব বয়সী মানুষের জন্য অনলাইন ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

কিন্তু অ্যাপল কিছুতেই ‘সাইডলোডিং অ্যাপ’ সরানোর ব্যাপারে সম্মতি দিচ্ছে না। তাই সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটিকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। একই সঙ্গে আইফোনের সেবা কমানো কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বীদের মতো সেবা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

বুধবার সকালে এক ব্লগপোস্টে অ্যাপল জানায়, আইওএস অ্যাপস্টোরে ব্যবহারকারীর সুরক্ষা দেওয়া তাদের গুরুদায়িত্ব। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তারা ব্যবহারকারীর তথ্যের সুরক্ষা দিয়ে আসছে। ‘সাইডলোডিং অ্যাপগুলো যদি সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে এবং ব্যবহারকারীর তথ্যের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না।’

অ্যাপল বলেছে, ‘বিশ্বব্যাপী মোটা অঙ্কের আইফোন ব্যবহারকারী রয়েছেন। তাদের ফোনে বহু স্পর্শকাতর তথ্য যেমন অবস্থান, ছবি, স্বাস্থ্য এবং আর্থিক তথ্য সংরক্ষিত আছে। এখন সাইডলোডিং অ্যাপ যদি আমরা সরিয়ে দিই, তাহলে ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে না।’

আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, ‘প্রতিদিন বিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী আইফোন ব্যবহার করে ব্যাংকিং ও স্বাস্থ্যের তথ্য এবং নিজেদের ব্যক্তিগত ছবি সংরক্ষণ করছে। এতে তারা সহজেই সাইবার অপরাধী এবং স্ক্যামারদের টার্গেটে পরিণত হবে। যার ফলে ভবিষ্যতে আইফোনে হ্যাকিংয়ের সংখ্যা বাড়তে পারে।’

এ সময় অ্যাপল দাবি করেছে, সার্চ ইঞ্জিন প্ল্যাটফর্ম গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও সাইডলোডেড অ্যাপ রয়েছে।

সমালোচকরা বলছেন, অ্যাপল চাইলেই সাইডলোডেড অ্যাপ সরিয়ে ছোট ছোট পরিবর্তন আনতে পারে। এতে ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রেখেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে আইওএস।

এইচএকে/এএ