ভারতের নতুন ডিজিটাল আইন মেনে ৫৯ হাজার ৩৫০টি লিংক সরিয়েছে সার্চ ইঞ্জিন প্ল্যাটফর্ম গুগল। এর মধ্যে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের লিংকও রয়েছে। শুক্রবার (২ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গুগল বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে তারা ২৭ হাজার ৭১৬টি অভিযোগ পেয়েছে। তার প্রেক্ষিতে এই লিংকগুলো সরানো হয়েছে।

এদিকে ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কু’র প্রধান নির্বাহী আপ্রায়্যামেয় রাধাকৃষ্ণ বলেন, ভারতের ডিজিটাল ইনফরমেশন টেকনোলজি আইন মেনে গুগলের সঙ্গে তারাও ব্যবহারকারীর পোস্ট সরানোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

এনডিটিভি জানায়, এ পর্যন্ত পাওয়া ৫ হাজার ৫০২টি পোস্টের মধ্যে ১ হাজার ২৫৩টি সরিয়েছে কু। সতর্ক করা হয়েছে ৪ হাজার ২৪৯ ব্যবহারকারীকে।

আপ্রায়্যামেয় রাধাকৃষ্ণ বলেন, ‘ভারতে এই প্ল্যাটফর্ম বেশ সাড়া পেয়েছে। আমরা দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, আরেকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক ৩ কোটি ব্যবহারকারীর পোস্ট সরিয়েছে। প্লাটফর্মটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘বহু বছর ধরে ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য ফেসবুক বিনিয়োগ করে এসেছে। অনলাইনে যেন ব্যবহারকারী নিরাপদ থাকেন এবং স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারেন সে উদ্দেশ্যেই আমরা কাজ করছি।’

ফেসবুকের মুখপাত্র এ সময় আগামী ১৫ জুলাই হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাপারে আরেকটি বিবৃতি দেওয়া হবে।

চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারতে ডিজিটাল ইনফরমেশন টেকনোলজি আইন পাস করা হয়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর সমর্থনের জন্য ১ মাসের সময়সীমা দেওয়া হয়। অর্থাৎ ২৫ মে পর্যন্ত এ বিষয়ে সময় নেওয়ার সুযোগ দেয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

পরবর্তীতে মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ ভারতের হাইকোর্টে এই আইনের বিরোধিতা করে মামলা করে। কিন্তু আইনটির বাস্তবায়ন কোনোভাবেই ঠেকাতে পারেনি বিভিন্ন মহলের সমালোচনা ও বিতর্ক এবং হোয়াটসঅ্যাপের মামলা। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে প্রথম সারির সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো আইনটি মেনে নিতে বাধ্য হয়।

তবে এখন পর্যন্ত আইনটি পুরোপুরি মেনে নেয়নি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটার। জানা গেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তারা ৪ মাসের সময় চেয়েছে।

সূত্র : এনডিটিভি ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এইচএকে/টিএম/এএ