মোবাইল অপারেটরদের কার্যক্রম তদারকিতে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান টিকেসি টেলিকম এবং বিটিআরসি’র মধ্যে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

সোমবার (০২ আগস্ট) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান টিকেসি টেলিকম এর সঙ্গে বিটিআরসি’র এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন। 

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। 

বিটিআরসি’র পক্ষে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাক ও টিকেসি টেলিকমের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামির তালহামি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে চুক্তি স্বাক্ষরের ১৮০ দিনের মধ্যে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। 

এছাড়া চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগে. জেনা. মো. এহসানুল কবীর এবং টিকেসি টেলিকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামির তালহামি বক্তব্য রাখেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মোবাইল অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম ক্রয়ের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিস্টেমটি বাস্তবায়িত হলে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং রিপোর্টিং প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় হবে। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় সব তথ্য বাস্তব সময়ে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। এতে ভয়েস ও ডাটা ট্রাফিক, নেটওয়ার্ক ব্যবহার এবং মান সম্পর্কিত তথ্য সর্বোপরি বিটিআরসি’র প্রাপ্য রাজস্ব সম্পর্কে নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া নিশ্চিত হবে।

ফলে বিটিআরসি’র নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে এবং সরকারের কাছে প্রতিবেদন পেশ ব্যবস্থা আরও দক্ষ এবং দ্রুত হবে। শহর এলাকার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চল, দ্বীপ, হাওর-বাওর, উপকূলীয় অঞ্চল ও দুর্গম এলাকার টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের প্রকৃত অবস্থা তাৎক্ষণিক যাচাই করা সম্ভব হবে।

অপারেটরদের নেটওয়ার্কের লাইভ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের সেবার মান আরও সুচারুভাবে যাচাই করা যাবে এবং গ্রাহক সেবার প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। 

অপারেটররা বাস্তবে যেসব ট্যারিফ বাস্তবায়ন করছে এবং এসব ট্যারিফ প্যাকেজ বিটিআরসি অনুমোদিত কি না অথবা গ্রাহকরা অন্যায্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কি না তা যাচাই করা সম্ভব হবে এবং এ বিষয়ক অভিযোগগুলোর নিষ্পত্তি কার্যকরভাবে করা সম্ভব হবে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নানাবিধ অবকাঠামোগত ব্যবস্থা ও সেবার সঠিক মান উন্নয়নে সিস্টেমটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

একে/জেডএস