যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটার থেকে ব্যান করার সিদ্ধান্তটি সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডর্সি। তবে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে ব্যান করার ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেন। 

ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে ব্যান করার বিষয়ে একদিকে টুইটার যেমন প্রশংসিত হয়েছে, অন্যদিকে সমালোচিত হয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওবরাদর টুইটারের ব্যাপক সমালোচনা করেন। 

টুইটারের প্রধান নির্বাহী বলেন, ট্রাম্পকে ব্যানের আদেশে তিনি গর্বিত নন। গত সপ্তাহে ক্যাপিটাল হিলে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পকে ব্যান করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘টুইটার থেকে ব্যান করার মধ্য দিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করা হয়েছে। টুইটারে ট্রাম্পের বক্তব্য আমাদের বিব্রত করায় আমরা ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে ব্যান করেছি।’ 

এসময় যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারবিরোধী লেখা প্রকাশ করেন তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কোনো কোম্পানির ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত এবং সরকার পরিবর্তনের বিষয়টি এক নয়। 

উল্লেখ্য, টুইটার ব্যবহারকারীদের টুইট সরিয়ে দেয়ার বিষয়ে বাকস্বাধীনতা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট কঠোর সমালোচনা করেছে। সোমবার জার্মানির চ্যান্সেলরের মুখপাত্র বলেন, ট্রাম্পকে টুইটারের স্থায়ীভাবে ব্যান করার মধ্যে অ্যাঙ্গেলা মেরকেল মত প্রকাশে অসুবিধা হিসেবে দেখছেন। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কারও ওপর সেন্সরশীপ আরোপিত হোক সেটি আমি পছন্দ করি না।’ 

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ফেসবুক ও টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টগুলোকে অনলাইনে ভূয়া সংবাদ ও আপত্তিকর পোস্টের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

এইচএকে/এএ