করোনা মহামারির মধ্যে অনলাইন ট্রান্সজেকশনের মাত্রা বেড়েছে। বিশেষ করে সবাই ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে অনলাইনে ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করেন। এ সুযোগে সাইবার হামলা বা সাইবার জালিয়াতির সংখ্যাও বাড়ছে। অনেকেই না বুঝে হ্যাকারদের ফাঁদে পা দিয়ে হারাচ্ছেন টাকা পয়সাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি। তবে কিছুটা কৌশলী হলে এসব সাইবার জালিয়াতির হাত থেকে বাঁচা সম্ভব।

পাবলিক ওয়াই-ফাই বা সাইবার ক্যাফে লেনদেন নয়

আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে চাইলে, পাবলিক ওয়াই-ফাই এবং সাইবার ক্যাফের কম্পিউটার ব্যবহার করে অনলাইনে টাকার লেনদেন একদমই করা যাবে না। কারণ, হ্যাকাররা যদি পাবলিক নেটওয়ার্ক সিস্টেমে ম্যালিসিয়াস কোড ঢুকিয়ে দিলে, সেই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের গোপন তথ্য চলে যাবে হ্যাকারের হাতে। আর এমনটা হলে আপনাকে বড়োসড়ো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই ট্রানজ্যাকশনের ক্ষেত্রে, পাবলিক নেটওয়ার্কের পরিবর্তে সর্বদা প্রাইভেট ওয়াই-ফাই বা মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করুন।  মোবাইলের ক্যাশ মেমরি ক্লিয়ার রাখুন। এতে আপনার ব্যাংকের তথ্যাদি চুরি হবে না।

ওয়েবসাইটে কার্ডের তথ্য সেভ না রাখা

এখন অনলাইন শপিংয়ের যুগ। ফলে প্রায়শই দেখা যায়, ক্রেতা দ্রুত পেমেন্ট করার জন্য তাদের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের তথ্য বা ডিটেলস অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সেভ করে রাখেন। এমনটা করা একদমই উচিত নয়। কারণ, প্রায় দিনই অনলাইন সাইটের তথ্য চুরি করে নিচ্ছে হ্যাকাররা। তাতে কার্ড ডিটেলস সেভ করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই ট্রান্সজেকশনের সময়ে কার্ড ডিটেলস যদি সেভ হয়েও যায়, তা দ্রুত রিমুভ করুন।

ওয়েব সাইটের URL চেক করুন

যেকোনো ওয়েবসাইটে অনলাইন পেমেন্ট করার সময় সাইটটির URL চেক করতে ভুলবেন না। শুরুতে যদি https এর পরিবর্তে http থাকে, তাহলে বুঝবেন সাইটটি খুব বেশি নিরাপদ নয়। https এর s দিয়ে সাইটগুলোর নিরাপত্তাকে নির্দেশ দিয়ে থাকে।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার

সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা ব্যাংক কার্ডের পিন, সবসময় শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। তাই আপনি যে ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন সেগুলোর লগ-ইন পাসওয়ার্ডে অক্ষরের পাশাপাশি সংখ্যা এবং কিছু বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করুন, যাতে সহজে অনুমান না করা যায়। ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের পিন নম্বর হিসেবে আপনার মোবাইল বা জন্মের তারিখ বাদে অন্য যে কোনও সংখ্যা ব্যবহার করুন এবং সেটিকে মাঝে মধ্যেই বদলাতে থাকুন। এর ফলে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকবে এবং আপনি অনলাইন জালিয়াতির শিকার হবেন না।