নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে শুরুতে পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ বিষয়ে পরিবারের অনীহা রয়েছে। সন্তান কী ব্যবহার করছে তার খেয়াল আগে অভিভাবকদেরই করতে হবে।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই সভায় ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতি চালুসহ বিভিন্ন পরামর্শ তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা। শুরুতে আয়োজক সংগঠনের হেড অব টেকনিক্যাল কমিটি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু সালেহ মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় বলেন, আমরা সচেতনতামূলক নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। অনেকগুলো কাজ চলমান। কিন্তু গ্রাহকদের মাঝ থেকে সেভাবে সাড়া পাওয়া যায় না। অথচ তাদের কাছ থেকেই আগে সাড়া পাওয়া দরকার। কারণ ভুক্তভোগী তো তারাই প্রথম হয়।

তিনি জানান, পারিবারিক শিক্ষাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে পরিবারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

সভায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের প্রত্যেক ইন্টারনেট গ্রাহককে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতায় চিঠি দিতে বলা হয়। আমরা মেইল, ডাকযোগ ও সরাসরি দশ হাজার চিঠি বিভিন্ন পরিবারের কাছে পাঠাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পরিবারের কাছ থেকে সাড়া পাই নাই।

তিনি বলেন, একটি পরিবারের পক্ষ থেকেও আমাদের কাছে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা জানার আগ্রহ পাই নাই। তার মানে কী সবাই বিষয়টা সম্পর্কে জানেন? কিন্তু আসলে তারা তেমন কিছুই জানেন না। এখান থেকে পরিষ্কার যে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে কতটুকু অনীহা রয়েছে আমাদের। অথচ প্রতিটি পরিবারের সদস্যই কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স ব্যারিস্টার সাহেদ আলম বলেন, আমাদের মাঝে ডিজিটালি শিক্ষার প্রচলন খুবই দরকার। পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে মায়েদের মাঝে এই শিক্ষার উন্নয়ন ঘটাতে পারলে কিন্তু সন্তানদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত হবে। আপনাকে জানতে হবে কী বিষয়ে আপনার জানা জরুরি। এছাড়া নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সাইবার সিকিউরিটি গাইড লাইন খুবই দরকার।

টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদী বলেন, আমরা যে ডিভাইস ব্যবহার করছি তা কতটুকু নিরাপদ তা নিয়ে কিন্তু কারো ভাবনায় নেই। ব্যবহারকারীরা নিজেরাও জানেন না তার ডিভাইসটা নিরাপদ রাখার উপায় আছে। মনে রাখতে হবে, ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো তথ্য চুরি।

সভায় আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বাংলালিংকের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তৈমুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

একে/এমএইচএস