দুই চারটি ক্লিক করেই খুব সহজে কাউকে ‘বিপদে’ ফেলা দেওয়া হচ্ছে। শুধু বিপদ নয়, মহাবিপদ বলা চলে। কারণ এর মাধ্যমে পর্ন তারকার দেহে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য একজনের মুখ। কাজটির আগেই অবশ্য ইংরেজিতে সতর্ক বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

যার বাংলা দাঁড়ায়- ‘প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি ভিডিওতে নিজের ইচ্ছে মতো মুখ জুড়ে দিন। যেকোনো ব্যক্তিকে বানিয়ে দিন পর্ন তারকা। আমাদের শুধু দুটি জিনিস লাগবে। একটি ছবি আর একটি ক্লিক।’

ভিডিওতে মুখ পাল্টে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে নতুন এ অ্যাপ নিয়ে চিন্তা আর উদ্বেগের কারণ রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় তেমন কোনো জটিলতা নেই। খুব সহজেই কাজটি করে ফেলা যায়। আগে একমাত্র পেশাদাররাই এ কাজ করতে পারতেন। কিন্তু এ অ্যাপের মাধ্যমে একটি ছবি দিয়েই যদি তা খুব সহজে করে ফেলা যায়, তবে ব্যাপক অপব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে অ্যাপটি। যে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে তাকে বলা হয়- ডিপফেক টেকনোলজি। অ্যাপটির খোঁজ প্রথম পান হেনরি আজাদ নামে এক ব্যক্তি।

হেনরি একজন গবেষক। তার গবেষণার বিষয়ই হলো এ ধরনের ডিপফেক প্রযুক্তিতে তৈরি ওয়েবসাইট। তবে হেনরি ওয়েবসাইটটির ব্যাপারে সতর্ক করলেও নিরাপত্তার কারণেই সেটির নাম প্রকাশ করেননি। এমনকি ওয়েবসাইটের কোনো স্ক্রিনশটও শেয়ার করেননি তিনি।

হেনরি জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এ অ্যাপ প্রকাশ্যে আসেনি। প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবহারকারীর কথাবার্তা হয়েছে মাত্র। তারা অ্যাপটির ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেছেন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে।

তবে গবেষকদের ভয়, যদি এ অ্যাপ একবার প্রকাশ্যে আসে তাহলে তা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সীমা লঙ্ঘন করবে। আর এমনভাবে সেই সীমা অতিক্রম করবে, যা আগে কখনও হয়নি।

এসএসএইচ/এএ