ব্যবহারকারী যা শুনবে বা দেখবে সে সম্পর্কে খোঁজ রাখবে ফেসবুক। প্রয়োজনে তা সংরক্ষণ করেও রাখবে। এমন কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আসছে এই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট।

জানা গেছে, সাধারণ কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে নতুন এ কৃত্তিম প্রযুক্তি। ব্যবহারকারী যা শুনবে বা দেখবে তা সংরক্ষণ করে রাখার সক্ষমতা রয়েছে এ বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহারকারীর কাজে সংরক্ষিত সেই স্মৃতিকে কাজে লাগাবে ফেসবুক।

দৈনদিন কাজ সহজ হতে পারে এ নতুন কৃত্তিম প্রযুক্তির মাধ্যমে। ব্যবহারকারীরা চাইলে নতুন কিছু শিখতে পারবে এর মাধ্যমে যেমন- কেউ গিটার বাজানো শিখতে চাইলে নতুন এ কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা তা শিখিয়ে দিতে সক্ষম। পাশাপাশি চাইলেই নতুন কোন কাজ মনে রাখতে পারবে এই ইন্টেলিজেন্স টুল। এছাড়াও চাবি হারিয়ে গেলে তা খুঁজে দেওয়ার মত প্রয়োজনীয় কাজ করবে।

এ ব্যাপারে ফেসবুক জানায়, পুরো বিষয়টির পিছনে রয়েছে স্মৃতির প্রখরতা। ব্যবহারকারী যা দেখবে, শুনবে তা মনে রাখবে এ কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা যা পরবর্তীতে ব্যবহারকারীর প্রয়োজনে কাজে লাগাবে। 

এছাড়াও ইগোফরডি চিন্তার কথা সামনে এনেছে ফেসবুক ।পাশাপাশি গবেষণার চ্যালেঞ্জগুলোর কথা মাথায় রেখে এক দীর্ঘমেয়াদী কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে।
  
সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক আরও জানিয়েছে, এ গবেষণা পরিচালনায় বহু সংখ্যক ডেটার প্রয়োজন ছিল। যার জন্য ৯টি দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ল্যাবকে কাজে লাগিয়েছে ফেসবুক। যেখানে কোম্পানিটি ২২০০ ঘণ্টারর 'ফাস্ট পার্সন ভিডিও' সংগ্রহ করে। এর মাধ্যমে ৭০০ মানুষের জীবনযাপনের তথ্য সংগ্রহ করে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টি।

এ বিষয়ে ফেসবুকের রিসার্চ সায়েন্টিস্ট ক্রিস্টিন গ্রম্যান জানিয়েছেন, আগামী প্রজন্মের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে ভিডিও ডেটার প্রয়োজন। যে ভিডিওর মাধ্যমে পৃথিবীকে পাশে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে না গ্রাহকের। এর কারণে ফেসবুক গ্রাহকের সরাসরি জীবনযাপনের তথ্য সংরক্ষণ করতে চায়।

ইন্ডিয়া টাইমস/এআর/এএ