বাংলাদেশে ফুজিফিল্ম বিজনেস ইনোভেশন করপোরেশনের দুটি মডেলের প্রিন্টার বিপণন করবে জিএমই। ডিসেম্বর থেকেই দেশের বাজারে মডেল দুটির প্রিন্টার পাওয়া যাবে। 

প্রিন্টার বিপণনের লক্ষে ফুজিফিল্মের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারি চুক্তি করেছে জিএমই গ্রুপ। বৃহস্পতিবার দুপুরে জিএমই গ্রুপের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
 
জিএমই জানায়, তারা এপিওস প্রিন্ট সি থ্রি টুয়েন্টি ফাইভ ডি ডব্লিউ ও এপিওস সি থ্রি টুয়েন্টি ফাইভ জেড- মডেলের মাল্টিফাংশনাল প্রিন্টার বিপণন করবে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পাশাপাশি চীন এবং জাপানে ফুজিফিল্মের ব্যবসা রয়েছে। এর বাইরে এ অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম দুই মডেলের প্রিন্টার উন্মোচন করা হচ্ছে।

প্রিন্টার দুটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো, ওজনে হালকা ও আকারে ছোট। অফিস বা কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রিন্টিং সুবিধা পেতে প্রিন্টার দুটিতে সর্বোত্তম মান নিশ্চিত করেছে ফুজিফিল্ম বিজনেস ইনোভেশন। 

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন ফুজিফিল্ম বিজনেস ইনোভেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কেন সুগিয়ামা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জিএমই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. চৌধুরী হাসান মাহমুদ। 

তিনি বলেন, অত্যাধুনিক মডেলের প্রিন্টার দুটিতে নতুন ইঞ্জিন যুক্ত করায় আকারে ৪০ শতাংশ ছোট। প্রিন্টিংয়ের মান, নিখুঁত ইমেজ এবং ডেটা সুরক্ষার নিশ্চয়তা রয়েছে। সাদা-কালো বা রঙিন যাই হোক না কেন প্রতি মিনিটে ৩১টি এ-ফোর, ৪১টি এ-ফাইভ আকারের কাগজে প্রিন্ট করা যাবে প্রিন্টার দুটিতে।  

তিনি আরও বলেন, প্রিন্টার দুটিতে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত ফ্যাক্স সুবিধা রয়েছে। খুব সহজে নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে একাধিক যন্ত্র এই প্রিন্টারের সাথে সংযুক্ত করা যাবে। এজন্য প্রথম যন্ত্রের সেটিংস কপি করে অন্য যন্ত্রে ইনস্টল করলেই চলবে। এই বৈশিষ্ট্য গ্রাহকদের সময় বাঁচাবে।

টিআই/আরএইচ