মহাবিশ্বের বিভিন্ন লুকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন রহস্য। আর আলোচনা যদি হয় মহাকাশ নিয়ে, তাহলে তো কথাই নেই। চলতি বছর নাসা মহাকাশের বেশ কিছু মনোমুগ্ধকর ছবি প্রকাশ করেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এক নজরে-

হেলিক্স নেবুলা বা ডেভিলস আই- নাসার Spitzer স্পেস টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে এই নজরকাড়া ছবি। এই ছবি দেখে একঝলকে মনে হবে, রূপকথার গল্পে পাওয়া কোনও দৈত্যের লাল চোখ যেন ভাঁটার মতো জ্বলছে। ছবির মাঝখানে রয়েছে ওই উজ্জ্বল লাল বস্তু।

চলতি বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল ধূমকেতু লিওনার্ড। পৃথিবীর একদম পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে গত ১২ ডিসেম্বর। বলা যায় একদম পৃথিবীর কাছ দিয়ে কান ঘেঁষে গিয়েছে এই ধূমকেতু।

নাসার হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপে ধরা পড়েছিল এই নীহারিকার মনোমুগ্ধকর ছবি। এই রানিং ম্যান নেবুলা আসলে একটি রিফ্লেকশন নেবুলা। অর্থাৎ এই নীহারিকা কোনও আলো নির্গমন করে না। কিন্তু কাছাকাছি নক্ষত্র থেকে আলো প্রতিফলিত করে। ইনস্টাগ্রামে হাব্বল টেলিস্কোপের অফিশিয়াল পেজে এই অদ্ভুত সুন্দর দেখতে নীলাভ আভার নীহারিকার ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল।

যেখানে নতুন নক্ষত্রদের জন্ম হয়, সেখানেই নেবুলা বা নীহারিকা দেখা যাবে না। নাসার তরফে এই নীহারিকার ছবি শেয়ার করা হয়েছে। এই নেবুলা ২৫০ আলোকবর্ষ চওড়া এবং পৃথিবী থেকে ৬০০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে এই নীহারিকা।

ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি নভশ্চর থমাস পেস্কুয়েট আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে এই অরোরার ছবি তুলেছিলেন। এবছর সেপ্টেম্বর মাসে এই ছবি তোলা হয়েছে। মহাকাশ থেকে অরোরা দেখতে কেমন লাগে সেটাই বোঝা গিয়েছে এই ছবিতে।

ডেভিলস আই- এর মতো না হলেও এই গ্যালাক্সি বা ছায়াপথও অপূর্ব সুন্দর। এই ছায়াপথে রয়েছে একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল। কেন্দ্রস্থলে রয়েছে এই সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল। বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন হয় এই কেন্দ্রস্থলের অংশ থেকে।