ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবেষ্টিত ও ইতিহাসসমৃদ্ধ জেলার নাম জলপাইগুড়ি। জেলাটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ অংশে অবস্থিত। এটি পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বড় শহর হিসেবে পরিচিত। জলপাইগুড়িতে রয়েছে নদী, চা-বাগান, পাহাড়। প্রকৃতিপ্রেমীদের এখানে বেশি ভ্রমণ করতে দেখা যায়। বিশেষ শীতকালে জলপাইগুড়িতে অনেককে ভ্রমণ করতে দেখা যায়। 

১. জলপেশ

জরপেশ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শিবের মন্দির। মন্দিরটি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে জলপাইগুড়ি শহর অবস্থিত। জলপেশ মন্দির নির্মাণের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। ৮০০ সালে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন রাজা বাঘাদত্ত ও রাজা জলপেশ। পরবর্তীতে অন্যান্য রাজা মন্দিরটিতে আক্রমণ চালান এবং বারবার লুটতরাজের চেষ্টা করেন। ১৬৬৫ সালে কচ সাম্রাজ্যের রাজা প্রাণনারায়ণ মন্দিরটির খননকাজ শুরু করেন এবং এটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু ১৮৯৭ সালের শক্তিশালী ভূমিকম্পের কারণে মন্দিরটি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

২. জলদাপাড়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র

তোর্সা নদীর তীরে অবস্থিত জলদাপাড়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিতাবাঘ, হরিণসহ আরও বিভিন্ন প্রাণীর দেখা মেলে এখানে এলে। পর্যটকরা এই জায়গা অনেক পছন্দ করে থাকেন। কারণ এখানে পরিবারের সঙ্গে আনন্দে সময় কাটানো যায়। 

৩. জলপাইগুড়ি রাজবাড়ি

জলপাইগুড়ি রাজবাড়ি জনপ্রিয় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও ঐতিহাসিক স্থাপনা। স্থানীয়ভাবে এটি বৈকুণ্ঠপুর এস্টেট নামে পরিচিত। এখানে শুধু রাজবাড়িই নেই, রয়েছে দুটো মন্দির এবং বিশাল বাগান। জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান রাজবাড়ি দীঘি। 

৪. গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক

জলপাইগুড়ি শহর থেকে ৫২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক। বস্তুত এটি চিড়িয়াখানা। গুরুমারা ন্যাশনাল পার্কে রয়েছে ৭ প্রজাতির কচ্ছপ, ২২ প্রজাতির সরিসৃপ ও ২৭ প্রজাতির মাছ। দর্শকনন্দিত জায়গা গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক। 

৫. শ্রী শ্রী যোগমায়া কালীবাড়ি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবী কালীর মন্দির এটি। শ্রী শ্রী যোগমায়া কালীবাড়ি জলপাইগুড়ির স্বামী প্রণবানন্দ সড়কে অবস্থিত। মন্দিরটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অনেক জনপ্রিয়।

এইচএকে/এএ