ভারতের ভ্রমণ ভিসা চালু হয়েছে। করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে ঘুরতে পারেন আপনিও। কিন্তু যাবেন কখন? সময়টা যদি হয় বর্ষাকাল, তাহলে আপনার জন্য রইল কিছু পরামর্শ। চলুন তাহলে জেনে নিই বর্ষাকালে ভারতের যেসব স্থানে ঘুরে আসতে পারেন-

মুসৌরি, উত্তরাখণ্ড

মুসৌরি এমনিতেই সুন্দর জায়গা। বর্ষায় এ স্থানের সৌন্দর্য বেড়ে যায় বহুগুণ। পাহাড়, জঙ্গল বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে আরও গ্ল্যামারাস হয়ে ওঠে। প্রধানত গরম এবং শীতকালেই এখানেই পর্যটকরা ভিড় জমান। বর্ষাকালে এখানে পর্যটক কমই যান। কিন্তু যারা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন। তাদের জন্য বর্ষাকালই শ্রেয়। তখন একটা রহস্যময় পরিবেশ থাকে। এই সময় এখানকার পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়া আর কেউ জানেন না। সত্যি বলতে কি বর্ষাই মুসৌরি ভ্রমণের সবচেয়ে সঠিক সময়। হাতে ছাতা নিয়ে বা রেনকোট পরে হেঁটে ঘুরতে দারুণ লাগে। কিংবা হোটেলের বারান্দায় বসে প্রকৃতির শোভাও দেখা যাবে। মানে ঠিক ভ্রমণ নয়, অবকাশ যাপনের জন্য বেছে নিতে পারেন এই মুসৌরিকে।

ভাণ্ডারদরা, মহারাষ্ট্র

মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারদরার নাম কম লোকেই জানেন। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার সহ্যাদ্রি পাহাড়ের গায়েই অবস্থিত ভাণ্ডারদরা। অপূর্ব সুন্দর এই স্থানটি গাছপালায় ঘেরা। এখানকার রন্ধা ঝর্ণা, সংলগ্ন হ্রদ এবং ছোটো নদীগুলোর সৌন্দর্যও অসাধারণ। বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে এগুলোর রূপ আরও বেড়ে যায়। চারদিকে যেন তরতাজা পরিবেশ। যারা পায়ে হেঁটে ঘুরতে ভালোবাসেন তারা বর্ষায় এখানে এলে আনন্দ পাবেন। 

চিকমাগালুর, কর্ণাটক

পশ্চিমঘাট পর্বতমালার আরেকটি সুন্দর স্থান চিকমাগালুর। কাছেই রয়েছে রত্নগিরি পাহাড়। বৃষ্টিতে এখানকার সবুজ গাছপালা ঝলমলিয়ে ওঠে। পায়ে পায়ে চারপাশ ঘুরতে ভালো লাগবে। অবসর যাপনের দারুণ জায়গা এটি। এছাড়াও মাছ ধরা, ট্র্যাকিং, ম্পেইনিং সব করতে পারেন। এখানকার কফি খুব বিখ্যাত। হাতে গরম কফি নিয়ে বৃষ্টি দেখতে দেখতে সময় কাটান নিজের সঙ্গে। মনে হবে যেন রূপকথার রাজ্যে রয়েছেন। 

বন্সওয়াড়া, রাজস্থান

রাজস্থানের নাম শুনলেই মনে হয় মরুভূমি, সবুজ পাহাড়, পাথর, রাজপ্রাসাদ আর অনেকগুলো কেল্লার দৃশ্যে চোখে ভাসে। কিন্তু সেখানেও যে নীল পানি আর সবুজ গাছপালা থাকতে পার তা মনে হয় কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু রাজস্থানের বন্সওয়াড়াতে গেলে সেই ধারণা ভুল বলে প্রমাণ হবে। বন্সওয়াড়ার আরেক নাম শত দ্বীপের শহর। এখানে বর্ষাকালেই ঘুরতে যেতে হয়।

চেরাপুঞ্জি, মেঘালয়

চেরাপুঞ্জি নামটা শুনলেই মনে হয় বুঝি বৃষ্টি পড়ছে। বিশ্বের দ্বিতীয় সিক্ত স্থান এটি। বছরের প্রায় সারাটা সময় ধরেই এখানে বৃষ্টি হয়। ফলে সারাবছরই এখানে সবুজে সবুজ। সারা বছরই তো এখান বৃষ্টি হয়। যারা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাদের অন্তত একবার বর্ষাকালে চেরাপুঞ্জি যাওয়া উচিত। বর্ষায় এখানে প্রচুর পাখির ডাক শোনা যায়। মনে হয় প্রকৃতি নিজেই যেনো সুমধুর সুরে গান গাইছে।